দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরম করার পূর্বে যদি বুঝে যান দুধ ভালো আছে না খারাপ হয়ে গেছে, তাহলে বেশ ভালো হয়! কিন্তু কীভাবে বুঝবেন সেটি? আজ রয়েছে তার সমাধান।
ঘরে দুধ না থাকলে বড়ই মুশকিলে পড়তে হয়। বাচ্চাদের খাবার থেকে শুরু করে বড়দের চা- দুধ ছাড়া কোনওটাই যেনো সম্ভব নয়। অথচ দুধ বেশি করে ঘরে মজুত করে রাখলেও ফেটে যাওয়ার ভয় থেকেই যায়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, ঠাণ্ডা দুধ চায়ে দিলেই কেটে যায় অর্থাৎ নষ্ট হয়ে যায় দইয়ের মতো হয়ে। তখন চা পাতা, চিনি, দুধ সবই নষ্ট হয়ে যায় তখন। গরম না করেও কীভাবে বুঝবেন যে, দুধ নষ্ট হয়ে গেছে কি না সেই বিষয়টি। আজ বিষয়টি জেনে নিন।
# সাধারণত দুধের তেমন কোনও গন্ধ থাকে না। আর থাকলেও খুব মৃদু। তবে দুধ গরম করলেই আমরা এর সুবাস পাই। তবে আপনি যদি প্যাকেট থেকে দুধ বের করে গন্ধ নেন, তাহলে বুঝতে পারবেন দুধ ভালো আছে না খারাপ হয়ে গেছে। দুধ খারাপ হয়ে গেলে একটা বাজে গন্ধ আসবে যা অনেকটা পচা দইয়ের মতোই। ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হওয়ার কারণেই এমনটি হয়ে থাকে।
# প্যাকেটের দুধ প্রথমে একটি কাচের পাত্রে রাখুন। এরপর অল্প অল্প নাড়ুন কাচের পাত্রের দেওয়ালের দিকে। দেখুন দেওয়ালে লেগে থাকা দুধ তরল পদার্থের মতো নামছে নীচের দিকে, না কি অল্প অল্প দেওয়ালেই লেগে থাকছে। লেগে থাকলেই বুঝবেন দুধ খারাপ হতে শুরু করেছে।
# দুধ সম্পূর্ণই সাদা একটি তরল। ভালো গরুর দুধ হলে একটু অল্প হলদেটে ভাব দেখা যায়। তবে প্যাকেটের দুধ সাদাই হয়ে থাকে। প্যাকেটের দুধ প্রথমে একটি কাচের পাত্রে নিন। এরপর সেটি রোদের সামনে কিংবা ভালো আলোর কাছে নিয়ে গিয়ে দেখুন রং সম্পূর্ণ সাদা দেখায় কিনা। যদি দেখেন আলোর কারণে খানিকটা হলদেটে লাগছে তাহলে বুঝবেন দুধ ভালো নেই।
# আরেকটি পরীক্ষা হলো- প্যাকেটের দুধের খানিকটা মাইক্রোওয়েভে দিন। ২ মিনিট পর বের করে নিন। এবার ওই দুধ ভালো করে দেখুন। যদি দেখেন যে, দুধের রঙের পরিবর্তন ঘটেছে কিংবা দুধের মধ্যে দলা দলা অংশ দেখা দিয়েছে তাহলে বুঝতে হবে যে, সেই দুধ খেলে পেটের সমস্যা হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।