দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্থিরোগ ঠেকাতে অনেকেই ভরসা করেন দুধের উপর ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের উপর। হা়ড়ের যত্নে দুধের জুড়ি নেই। সেইসঙ্গে কিছু ড্রাই ফ্রুটসও কিন্তু হাড়ের খেয়াল রাখতে কার্যকর।
আমরা সবাই জানি বার্ধক্যে হাড় সংক্রান্ত নানা সমস্যা প্রায় সময় লেগেই থাকে। বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের খেয়াল করলে সেটি বোঝা যায়। তারা বসলে উঠতে পারেন না। অনেক সময় বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও পা টনটন করে ওঠে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাড় কমজোরি হতে শুরু করে। তবে কম বয়স থেকে হাড়ের যত্ন নিতে শুরু করলে এই সমস্যা অনেকটা এড়ানো যাবে। অস্থিরোগ ঠেকাতে অনেকেই অবশ্য ভরসা রাখেন দুধ ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের উপর। হাড়ের যত্নে দুধের জুড়ি নেই। সেইসঙ্গে কিছু ড্রাই ফ্রুটসও হাড়ের খেয়াল রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
কাঠবাদাম
কাঠবাদাম হলো ক্যালশিয়ামের সমৃদ্ধ একটি খাবার। ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই-এর মতো উপকারী উপাদানে ঠাসা কাঠবাদামও হাড়ের যত্নে ভরসা হয়ে উঠতে পারে। হাড় ভালো রাখতে শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ পর্যাপ্ত হওয়াটা জরুরি। কাঠবাদামে প্রোটিন রয়েছে ভরপুর।
আখরোট
ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ আখরোট হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে থাকে। এই অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহজনিত সমস্যাও কমায়। আখরোটে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ়, যা হাড় শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে।
খেজুর
অস্থিরোগের ঝুঁকি তখনই এড়ানো যাবে, যদি শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক-ঠাক থাকে। খেজুরে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে পটাশিয়াম। খেজুর খেলে হাড়ের সমস্যায় আপনাকে ভুগতে হবে না। তাছাড়াও খেজুরে ম্যাগনেশিয়ামও রয়েছে। এই উপাদান অস্টিয়োপোরেসিসের ঝুঁকিও কমায়।
কিশমিশ
খেজুরের মতো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। তাই হাড়ের ক্ষয় আটকাতে ভরসা রাখতে পারেন কিশমিশের উপরে। কিশমিশ শরীরে ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সামগ্রিকভাবে হাড়ের যত্ন নিতে হলে কিশমিশ অপরিহার্য।
কাজু বাদাম
কাজু বাদামে রয়েছে ভরপুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস। ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের যত্নে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে থাকে। শরীরে সঠিক মাত্রায় ক্যালশিয়াম শোষণ করতে কাজু বাদাম বড়ই উপকারী। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org