দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফুড পয়জন থেকে ডায়রিয়া কিংবা বদহজমও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এই বর্ষা মৌসুমে। শিশুর কৃমির প্রবণতা থাকলে পেটের যে কোনও সমস্যা তাদেরকে আরও কাহিল করে দেয়।
বর্ষায় পেটের সমস্যা লেগেই থাকে। তবে শুধুমাত্র বড়দের নয়, এই ঋতু পরিবর্তনের কারণে ছোটদের প্রতিও বাড়তি নজর দিতে হয়। ফুড পয়জন থেকে শুরু করে ডায়রিয়া, সাধারণ বদহজমও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এই সময়। শিশুর কৃমির প্রবণতা থাকলেও পেটের যে কোনও সমস্যায় আরও কাহিল হয়ে পড়তে পারে। তাই বর্ষায় বাড়ির খুদে সদস্যদের পেটের দিকে নজর রাখা দরকার।
এই বর্ষাকালে বৃষ্টির নোংরা পানি জমে যায় চার দিকে। এই জমা পানিই বিভিন্ন পেটের রোগের কারন। পরিচ্ছন্নতার অভাবও অসুখের অন্যতম একটি কারণ। এই সময় পোকা-মশা-মাছির উপদ্রবও বাড়ে। খাবারের উপর বসে এরা জীবাণু ছড়ায়। যে কারণে ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে খাদ্যনালিতে সংক্রমণ ঘটায়। তবে কী হবে সেই সতর্কতা? কীভাবেই বা শিশুর থেকে দূরে রাখবেন এইসব অসুখকে?
# বর্ষার এই মৌসুমে বাড়ির চারপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে। খাবার বানানোর সময় যে পানি বা পাত্র ব্যবহার করছেন তা যেনো খুব পরিচ্ছন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাড়িতে অ্যাকোয়াগার্ড না থাকলে পানি ফুটিয়ে খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
# তাছাড়াও শিশুকে হাত ভালো করে ধুয়ে খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। সন্তানরা নিজে হাতে খেলেও নজর রাখুন ওর হাইজিনের দিকে। এই বর্ষার মৌসুমে শিশুর বয়স এক বছরের মধ্যে হলেই তাকে অন্য খাবারের পরিবর্তে মাতৃদুগ্ধ পান করানোই ভালো।
# ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শিশুকে জিঙ্ক সিরাপ ও প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল খাওয়ানো যেতে পারে। তবে পেটের সমস্যায় আগে স্যালাইন পানি দিতে হবে।
# আপনার শিশুর খাবার পাতে সবুজ শাক-সব্জি এবং ফলমূল রাখুন। তবে কাটা ফল মোটেও দেবেন না। রাস্তার পানীয় এবং খাবার থেকে দূরে রাখুন। শিশুর স্কুলের টিফিনের প্রতিও আপনাকে নজর দিতে হবে। টিফিনের খাবার সাধারণত ঠাণ্ডা হয়ে যায়। তাই এমন কিছু দেবেন না যা ঠাণ্ডা হওয়ার পর আরও বিষাক্ত হয়ে যায়। নুডলস কিংবা রাসায়নিক মেশানো খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on জুলাই ২৭, ২০২২ 2:06 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা শরীরচর্চার সময় না পেলেও নিয়ম করে মিনিট পাঁচেক স্কোয়াটে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ডেলটা নামে আইফোনের একটি ইমুলেটর অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খানকে নিয়ে আরও দু'টি নতুন সিনেমা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বুদ্ধি খেলা খেললে ব্রেন আর স্রাফ হয়। তাই এই ধরনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ শরীরে পানির ঘাটতি হলেও জিভ সাদা হয়ে যায়। নিয়মিত…