দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আলুতে অঙ্কুর গজানোর সমস্যা হয় আলুর শেষ সিজেনে এসে। তখন দেখা যায় আলুতে অঙ্কুর গজাচ্ছে। এমন আলু কী খাওয়া আদতেও ঠিক? আজ জানবো সেই বিষয়টি।
আলুতে অঙ্কুর গজাতে শুরু করলে তখন এর মধ্যে গ্লাইকোঅ্যালকয়েডগুলির মাত্রা বাড়তে থাকে। এই আলু খেলে শরীরে বিষক্রিয়াও হতে পারে।
বাড়িতে অনেক দিন আলু জমিয়ে রেখে দিলে তার গায়ে অঙ্কুর বেরোতে শুরু করে দেয় বিশেষ করে আলুর শেষ সিজেনের দিকে এই সমস্যা বেশি হয়।
এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, আলুতে সোলানাইন এবং ক্যাকোনাইন নামক গ্লাইকোঅ্যালকয়েড থাকে। এই যৌগগুলো টম্যাটো এবং বেগুনেও দেখা যায়। সামান্য মাত্রায় এই যৌগগুলো শরীরে গেলে সেটি স্বাস্থ্যকর। এতে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণও থাকে। এই যৌগগুলো রক্তচাপ এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। তবে বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে বিষক্রিয়াও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই ধরনের আলু নিয়মিত খেলে আন্ত্রিকের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। অনেকের আবার মাথাব্যথা শুরু হয়। বিপুল পরিমাণে গেলে কেও কেও আবার কোমায় চলে যেতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরে শরীরে সোলানাইন গেলে স্নায়ুর ক্ষতিও হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বাদের এই খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ হলো এই নিরীহ আলুই মানবদেহের জন্য হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আলুর মধ্যে এই সোলানাইন উৎপাদনও ঠেকিয়ে রাখা যায়। সেজন্য অন্ধকার ও ঠাণ্ডা জায়গায় আলু সংরক্ষণ করতে হবে। তাই খুব বেশি আলু কখনও ঘরে কিনে রাখবেন না। একটি আলুতে পচন ধরতে শুরু করলে সেটি সঙ্গে সঙ্গেই ফেলে দিন। না হলে সব আলুতেও সোলানাইন এবং ক্যাকোনাইন উৎপাদন বেড়ে যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।