দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই স্নায়ুর সমস্যায় ভুগে থাকেন। শরীরে কোন ভিটামিনের অভাব হলে এমন একটি রোগ প্রকট হয়ে ওঠে? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
আমরা অনেকেই জানি ভিটামিন ডি শরীরের অভ্যন্তরেই উৎপন্ন হয়। এই ভিটামিনের পর্যাপ্ত মাত্রা শরীরে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস শোষণ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এছাড়াও এই ভিটামিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করে, বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। হাড় ও দাঁতের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিকাশকে স্বাভাবিক করে তোলে এই ভিটামিন ডি।
শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ সব সময়ই পর্যাপ্ত থাকে না। বিভিন্ন কারণে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হতেই পারে। শরীরের বেশ কয়েকটি লক্ষণ সেই বিষয়টি জানান দেয়।
ভিটামিন ডি কম থাকলে শরীরের প্রতিরোধ শক্তিও কমে যায়। আর তখন সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়ে। সংক্রমণের মাত্রা বেশি হলে শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। পেশিতেও টান ধরতে পারে সে কারণে। ক্লান্তি অনুভব হওয়া ভিটামিন ডি ঘাটতির আরও এক উপসর্গ। হাড়ে ব্যথা, চুল পড়ার লক্ষণও ভিটামিন ডি ঘাটতির ইঙ্গিত বহন করে।
শুধু তাই নয় শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ কমে গেলে তার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কেও। এই ভিটামিন মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপেও বিশেষ অবদান রাখে। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি স্নায়ু সংক্রান্ত রোগেরও জন্ম দেয়।
‘নিউরোসাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার’, ‘নিউরোডিজেনারেটিভ’-এর মতো রোগ দেখা দিতে পারে ভিটামিন ডি’র অভাবে। এক গবেষণা বলছে, নিউরোস্টেরয়েড হিসাবে ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ভিটামিন ডি’র মাত্রা কমে গেলে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, অ্যালঝাইমার্স, পারকিনসন্স, নিউরোকগনিটিভ ডিজঅর্ডার-এর মতো স্নায়ুরোগ হওয়ার আশঙ্কাও থাকে প্রবল।
ভিটামিন ডি’র পরিমাণ স্বাভাবিবক রাখতে এই ভিটামিন-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া দরকার। ডিম, দুধ, সামুদ্রিক মাছ, বিভিন্ন ফল, পনির, মাংস, ব্রকোলি, ডিমের কুসুম ইত্যাদি এই খাবারগুলোতে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন ডি বিদ্যমান। সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন এইসব খাবার। তাতে করে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণ হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।