দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মেদ ঝরানোর সব রকম চেষ্টা করতে গিয়ে রাতের ঘুম উবে গেছে? বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঘুম ওড়ালে মোটেও চলবে না। কারণ হলো ঘুমের মধ্যেও নাকি রয়েছে মেদ ঝরানোর উপায়! কীভাবে?
বর্তমান সময়ে আধুনিক জীবনযাত্রা এবং পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস, এই দুইয়ের মিশেলে শরীরে জমে যাচ্ছে অতিরিক্ত মেদ। কাজের চাপে শরীরচর্চার জন্য সময় করাও দায় হয়ে যাচ্ছে। তবে তা বললে কী আর চলে? বিশেষ করে মুখে মেদ ঝরানোর সব রকম চেষ্টায় রাতের ঘুম উড়ে গেছে অনেকের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঘুম ওড়ালে মোটেও চলবে না। কারণ হলো ঘুমানোর মধ্যেই না কি রয়েছে মেদ ঝরানোর এক উপায়!
তবে বলা হয়েছে ঘুমের হরেক নিয়ম এবং তার আগে-পরের নানা অভ্যাসই নাকি ওজন ঝরাতে পারে। এই সব স্বভাব জানা থাকলে ঘুমের মধ্যেও কমিয়ে ফেলতে পারবেন বেশ কয়েক কেজি ওজন। ঘুমানোর সময়ই শরীরের বিপাক হার সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই এই সময়টি ওজন কমানোর জন্য উত্তম সময় বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সঠিকভাবে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস শরীরের মেদ কমাতে খুবই সাহায্য করে। নির্দিষ্ট একটা বায়োলজিক্যাল ক্লক মেনে চললে শরীরের মেটাবলিজম রেটও নিয়ন্ত্রণে থাকে। অন্তত ৭/৮ ঘণ্টা টানা ঘুমানোর প্রয়োজন। ঘুমের সময় মেদ কমাতে চাইলে ঘুমানোর পূর্বে হালকা কিছু খেতে হবে। সেটি হতে পারে, প্রোটিন শেক কিংবা এমন কোনও পানীয়, যা শরীরকে পুষ্টি দেওয়ার সঙ্গে হালকাও রাখে। ঘুমের পূর্বে অনেকেই ঘর অন্ধকার করেন, তবে জ্বালিয়ে রাখেন নাইট ল্যাম্প বা ডিম লাইট। চিকিৎসকের পরামর্শ হলো, নাইট ল্যাম্পও নিভিয়ে দিতে হবে। সম্পূর্ণ অন্ধকারে ঘুমালে শরীরে ক্যালোরি বার্ন বেশি হয়ে থাকে।
ঘুমের পূর্বে মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস একেবাররেই ভালো নয়। মোবাইল, টিভি এবং ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে আসা নীল আলো শরীরে মোলাটোনিন হরমোনের উৎপাদনও বন্ধ করে দেয়। এই মেলাটোনিনই হলো ক্যালোরি ঝরানোর অন্যতম প্রধান উপাদান। এই মেলাটোনিনের পর্যাপ্ত জোগান না থাকলে মেদ কখনও কমবে না। তাই ঘুমনোর আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে দূরে থাকাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
হালকাভাবে এসি চালিয়ে ঘুমাতে পারেন। বাড়িতে এসি না থাকলে ঘুমানোর পূর্বে উষ্ণ পানিতে স্নান সেরে নিন। মাথা বাদ দিলেও শরীরটুকু ভিজিয়ে নিন। ফ্যান চালিয়ে ঘুমান। ঘুমের মধ্যে নিজেকে গরম রাখতে শরীর নিজেই বেশি ক্যালোরি খরচ করে ফেলে। এতে করে মেদ কমে খুব সহজেই। তবে সর্দি-কাশির অসুখ থাকলে এই বিষয়টি আপনি এড়িয়ে চলতে পারেন।
আপনি কখন ঘুমাতে যাবেন যেমন গুরুত্বের বিষয়, ঠিক তেমনি কখন রাতের খাবার সারছেন সেদিকেও নজর রাখা দরকার। খুব সহজেই মেদ ঝরাতে গেলে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দু’ঘণ্টা পূর্বে রাতের খাবার সেরে নিতে হবে। সেইসঙ্গে রাতের খাবারটাও হালকা রাখুন। আর তখন সরাসরি ফ্যাট জমবে না শরীরে। কেও কেও ভারি কিংবা আঁটসাঁট পোশাক পরে ঘুমাতে পছন্দ করেন। মেদ ঝরাতে চাইলে আপনার শরীর হালকা রাখুন। চেষ্টা করুন নরম এবং হালকা পোশাকে ঘুমানোর। আঁটসাঁট পোশাকে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। তাছাড়া ভারি এবং ঢাকা পোশাক থাকার কারণে নিজেকে গরম রাখতে শরীরকে খুব বেশি একটা শ্রমও করতে হয় না, যে কারণে ক্যালোরি বার্নও কম থাকে। তাই ঘুমের মধ্যে শরীরের ক্যালোরি কমাতে চাইলে হালকা পোশাক বেছে নিতে হবে আপনাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।