দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত দুই সপ্তাহে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী নিপ্রো নদীর ওপর বেশ কয়েকটি ব্রীজ বোমা মেরে ব্যবহার অনুপযোগী করে দিয়েছে। যে কারণে খেরসনে বিপাকে পড়তে চলেছে রুশ বাহিনী।
রীতিমতো খেরসান নগরী ঘিরে ধরছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। আশা করা হচ্ছে, কিছু দিনের মধ্যেই নিজেদের পুনঃনিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে পারবে। বন্দরনগরী খেরসন মার্চ হতে রুশ বাহিনীর দখলে। কৌশলগতভাবে এই বন্দরনগরীটির অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেরসন লড়াইয়ে ইউক্রেনের বাহিনী সফল হলে সেটি হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর এই পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে বড় একটি অর্জন। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বদলাতে শুরু করেছে। প্রথম থেকে যুদ্ধের কেন্দ্রই ছিল ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল। সেটি বর্তমানে দক্ষিণ দিকে সরছে। খেরসন মূলত একটি আঞ্চলিক রাজধানী। যুদ্ধ শুরুর একমাসের মধ্যেই রুশ বাহিনী দখল করে নেয় এটি। এর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে ইউক্রেনের বাহিনী কয়েক মাস ধরেই প্রস্তুতি নিয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলোর নিকট হতে পাওয়া হাই মবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমসের (এইচআইএমএআরএস) মতো ভারি অস্ত্র ইউক্রেনের যোদ্ধাদের ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিতে কয়েক মাস সময় লেগে যায়। খেরসনের দিকে তারা ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৪৪টি গ্রাম এবং কয়েকটি শহরতলী এলাকা তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যে, ‘খেরসন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এটি জানিয়ে দিতে চায় যে, এই যুদ্ধে চূড়ান্তভাবে জেতার সক্ষমতা তাদের রয়েছে’। অনেকেই মনে করেন যে, এটিই যুদ্ধে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে দিতে পারে। ব্রীজ ধবংস করে দিয়ে ইউক্রেন নগরীর দখল নিতে পারলে রুশ বাহিনীর দক্ষিণ থেকে অগ্রসর হওয়ার পথও বন্ধ করে দিতে পারে। অপরদিকে রাশিয়ার দিক থেকে দেখলে এই নগরীর ওপর দখল বজায় রাখতে পারলে তা ওডেসা বন্দর দখলের পথ আরও সুগম করে দেবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।