দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হলি আর্টিজানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মাণ করেন ‘শনিবার বিকেল’ চলচ্চিত্র। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সিনেমাটি প্রদর্শিত হলেও বাংলাদেশে এখনও মুক্তি পায়নি। কারণ সেন্সরে আটকে আছে।
ফারুকী গত সাড়ে তিন বছর ধরে সিনেমা মুক্তির চেষ্টা করে গেলেও কোনোই লাভ হয়নি। সেন্সের বোর্ডে ঝুলে রয়েছে এর ভাগ্য। মুক্তির জন্য আপিল করলেও কোনো রকম সাড়া নেই। যে কারণে হতাশ নির্মাতা ফারুকী এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
সেখানে ফারুকী লিখেছেন, ‘আজকে সকাল সকাল মনটা খারাপ হয়ে গেলো! এই রকম কতো সকাল যে আমার গেছে। আমি একটি সিনেমা বানিয়েছি ‘শনিবার বিকেল’ নামে। যেটি সেন্সর বোর্ড সদস্যরা দেখে বিভিন্ন পত্রিকায় ইন্টারভিউ দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা দ্রুতই সেন্সর সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছি’। এরপর এক অদৃশ্য ইশারায় ছবিটির দ্বিতীয় শো করে তারা। এরপর বলে দিলো, ছবি ব্যান। তারপর আমরা আপিল করলাম। আজকে সাড়ে ৩ বছর হলো সেই আপিলের। কোনো উত্তরই নাই। আমাদেরও বুঝি কিছুই বলার নাই। কারণ তারাপদ রায়ের কবিতার মতো আমাদের কখন সর্বনাশ হয়ে গেছে আমরা তা টেরও পাইনি।’
দুই বছর আগে ইস্টার্নকিক নামে একটি আন্তর্জাতিক পোর্টালে সিনেমাটির রিভিউ প্রকাশিত হয়েছিলো।
সে সম্পর্কে এই নির্মাতা আরও লিখেছেন, ‘আজ ‘শনিবার বিকেল’-এর ওপর ইস্টার্নকিকের রিভিউটা হঠাৎ সাজেস্ট করলো আমাকে অ্যালগোরিদম। এটি আমি আগে পড়ি নাই। পড়ে মনে হইলো আমরা ফুল, পাখি কিংবা লতা, পাতা নিয়া ছবি বানাইলে ‘ঠিক আছে’! এমন কিছুই বানানো যাবে না, যেখানে আমাদের চেহারা দেখা যায়। তবে আমি তো চিরকালই সেইসব গল্পই বলে আসছি যেখানে আমাদের চেহারা দেখা যায়, সেটা প্রেমের গল্পই হোক কিংবা রাজনীতির গল্পই হোক। আমি আসলে অন্য কিছু পারি না। তাহলে পাখি সব যে রব করবে, সেটি কি নতুন সুরে করতে হবে? নতুন সুর শিখতে হবে? ’
ফরুকীর ‘শনিবার বিকেল’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন দেশের জনপ্রিয় তারকারা। যাদের মধ্যে অন্যতম জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, গাউসুল আলম শাওন, ইন্তেখাব দিনার ও নাদের চৌধুরী।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।