দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউরোপে মারাত্মক খরার কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানকার নদী এবং হ্রদের পানির স্তর কমে এসেছে। এবার পানি শুকিয়ে উন্মোচিত হয়েছে প্রাগৈতিহাসিক বিভিন্ন নিদর্শন!
জেগে উঠেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্নও। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিগত ৫০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র খরার কবলে পড়েছে পুরো ইউরোপ।
এবারের গ্রীষ্মের রেকর্ড দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে ইউরোপের অনেক নদনদী এমন কি জলাধার। ফ্রান্সের দীর্ঘতম নদী লয়ারের কিছু জায়গায় বর্তমানে পায়ে হেঁটে পার হওয়া যায়! এই নদীটি ইতিপূর্বে কখনও এতোটা শুষ্ক হয়নি। ইতালির পো নদীর পানি প্রবাহ একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। যার প্রভাব পড়ছে চাষাবাদেও। কয়েক শ বছর ধরে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভই হলো এই রাইন নদী। তবে সম্প্রতি জাহাজ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে ইউরোপে সবচেয়ে তীব্র খরা বিরাজ করায় ইউরোপের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী দানিউবের পানিও শুকিয়ে গেছে।
এদিকে সার্বিয়ার নদী বন্দর শহর প্রাহোভোর কাছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজও ভেসে উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, ১৯৪৪ সালে সোভিয়েত বাহিনীর আক্রমণে যখন নাৎসি সেনারা পিছু হটতে শুরু করে তখন জার্মান নৌবহরের এই জাহাজগুলো দানিউবের তীরে হয়তো ডুবে গিয়েছিল। এই সব জাহাজ বিস্ফোরক-বোঝাই ছিল। দানিউব নদীতে বর্তমানে খনন শুরু হয়েছে। যে কারণে ইউরোপের জ্বালানি-শস্যসহ অন্যান্য বাণিজ্য বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে শিল্প, পণ্য পরিবহন, বিদ্যুৎ এবং খাদ্য উৎপাদনেও।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ইউরোপে এই বছরের খরা এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে পূর্ব সার্বিয়ার প্রাহোভোর কাছে দানিউব নদীতে ২০টিরও বেশি হাল্ক উন্মোচিত হয়। যারমধ্যে অনেকগুলোতে এখনও অনেক গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরকও রয়েছে। এগুলো জাহাজ চলাচলে বাধা তৈরি করে আসছিল। জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সসহ ইউরোপের অন্যান্য অংশেও মাসের পর মাস খরা ও রেকর্ড-উচ্চ তাপমাত্রা নদীর স্রোতকে আটকে দিয়েছে।
স্পেনে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক খরা দেখা যাচ্ছে। খরার কারণে পানি শুকিয়ে ‘স্প্যানিশ স্টোনহেঞ্জ’ নামে পরিচিত একটি প্রাগৈতিহাসিক পাথরের বৃত্তও উন্মোচিত হয়েছে। এ কারণে অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক আনন্দিত। কারণ, সাধারণত এ প্রাগৈতিহাসিক নিদর্শনটি পানির নিচেই থেকে যায়। প্রাচীন এই পাথরের বৃত্তটি সরকারিভাবে ‘গুয়াডালপেরালের ডলমেন’ নামেও পরিচিত। ‘স্প্যানিশ স্টোনহেঞ্জ’ নামে পরিচিত এই পাথরের বৃত্তটি স্পেনের কেন্দ্রীয় প্রদেশ ক্যাসেরেসের ভালদেকানাস জলাধারের এক কোণে সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত হয়েছে বলে জানা যায়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, পানির স্তর ২৮ শতাংশ নিচে নেমে গেছে। এই পাথরবৃত্ত ১৯২৬ সালে সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেছিলেন জার্মান প্রত্নতাত্ত্বিক হুগো ওবারমায়ার।
তবে ১৯৬৩ সালে ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কোর একনায়কত্বের সময় এক গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে এলাকাটি বন্যায় প্লাবিত হয়েছিলো। তারপর থেকে মাত্র চারবার সম্পূর্ণরূপে দৃশ্যমান হয় এই পাথরবৃত্ত।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।