দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমেরিকায় শিক্ষার্থীদের ঋণ মওকুফের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যে কারণে শিক্ষার্থীরা ১০ হতে ২০ হাজার ডলার ঋণ মওকুফের সুবিধা পাবে। তথ্য ডয়চে ভেলের।
আমেরিকায় লাখ লাখ ছাত্র-ছাত্রীর জন্য শিক্ষাঋণ মওকুফ করার কথা ঘোষণা দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাদের ১০ হাজার ডলারের ঋণ মওকুফ করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও যাদের পারিবারিক আয় বছরে এক লাখ ২৫ হাজার ডলারের কম, সেই সব ছাত্র-ছাত্রী আরও ১০ হাজার ডলারের ঋণ মওকুফের সুবিধাটি পাবেন।
হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, চলতি আর্থিক বছরের একেবারে শেষের দিকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঋণের এই বাকি অর্থ দিতে হবে। তার পূর্বে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন হবে না। বাইডেন জানিয়েছেন যে, তিনি আরেকটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এবার পালন করলেন।
অপরদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, আমেরিকায় কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন আসছে। তার পূর্বে ঋণ মওকুফের ঘোষণা করে শিক্ষার্থী এবং তরুণদের নিজের দিকে নিয়ে আসতে চেয়েছেন জো বাইডেন। শিক্ষাঋণের বোঝা সাবেক এবং বর্তমান মিলিয়ে আমেরিকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঋণের বোঝা হলো ১ দশমিক ৭৫ ট্রিলিয়ান ডলার। ৪ কোটি ৩০ লাখ পড়ুয়া এই শিক্ষাঋণের বোঝায় বিপর্যস্ত। প্রত্যেকের গড় ঋণের পরিমাণ হলো ৩৭ হাজার ৬৬৭ ডলার।
হোয়াইট হাউসের হিসেব অনুযায়ী জানা যায়, বাইডেন যে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন, তাতে করে ২ কোটি শীক্ষার্থীদের আর কোনো ঋণই থাকবে না।
বাইডেন জানিয়েছেন, দুই কোটি ছাত্র-ছাত্রী এবার চিন্তামুক্ত জীবনে প্রবেশ করতে পারবেন। তারা এবং তাদের পরিবার ঋণের চাপ থেকেও মুক্তি পাবেন। তারা বাড়ি কেনার কথা ভাবতে পারবেন বা ব্যবসা শুরু করার কথাও চিন্তা করতে পারবেন।
ব্রুকলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা যায়, বাইডেনের এই ঋণ মওকুফের সিদ্ধান্ত, কালো এবং সাদা মানুষদের মধ্যে বিভেদ আরও কমাবে। কৃষ্ণাঙ্গদের গড়ে ২৫ হাজার ডলার ঋণ রয়েছে। তাদের আর্থিক পরিস্থিতির জন্য তাদের আরও বেশি করে শিক্ষা ঋণ নিতে হয়।
ডেমোক্র্যাটদের একাংশের দাবি ছিলো যে, অন্তত ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত ঋণ মওকুফ করা হোক। তাহলে তরুণরা বাড়ি কিনতে পারবেন। তারা কিছু অর্থ বাঁচাতেও পারবেন।
তবে কেও কেও বাইডেনের কঠোর সমালোচনা করেছেন। কিছু অর্থনীতিবিদ মনে করছেন যে, বাইডেনের ঋণ মওকুফের সিদ্ধান্তের কারণে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে।
রিপাবলিকানদের বক্তব্য হলো, এই কারণে বিত্তবানরাও সুবিধা পাবেন। তবে তাদের এই সুবিধা দেওয়া উচিত নয়। তারা মনে করছেন যে, এই কারণে কম আয়ের মানুষদের উপর করের বোঝা আরও বাড়বে। তার ধাক্কা সামলাতে হবে ডেমোক্র্যাটদেরও।
তবে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এমনিতে তরুণরা বাইডেনের উপর বেশ ক্ষুব্ধ ছিল। যে কারণে তাদের ভোট পাওয়া নিয়েও ডেমোক্র্যাটরা সংশয়েই ছিল। এবার তারা সেই ভোট পাওয়ার আশা করতেই পারেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।