দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে কোনো ব্যক্তির ফ্যাটি লিভার থাকলেই খাওয়া-দাওয়ায় অনেক রকম বিধিনিষেধ চলে আসে। তবে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো অনায়াসে খেতে পারেন।
বর্তমান সময়ে আধুনিক জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাসে নানা রকম অনিয়ম, শারীরিক কসরত না করা- এমন কিছু কারণে যে সব অসুখ খুব সহজেই শরীরে বাসা বাঁধে, তারমধ্যে অন্যতম হলো ফ্যাটি লিভার। ফ্যাটি লিভারের অসুখে ভুগছেন কি না তা কিন্তু সব সময় বাইরে থেকে বোঝার উপায় থাকে না।
চিকিৎসকরা বলেছেন, প্রত্যেকের লিভারেই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ চর্বি থাকে। তা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। তবে এই চর্বির পরিমাণ যদি বেড়ে যেতে থাকে, তা হলেই কিন্তু মুশকিল। আর তখনই দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যা। অনেকেই মনে করেন যে, মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান বোধহয় ফ্যাটি লিভারের একমাত্র কারণ। কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছেন, ফ্যাটি লিভার দু’রকম হয়ে থাকে। অ্যালকোহলিক ও নন-অ্যালকোহলিক। মদ্যপান করার কারণে লিভারে মেদ জমলে তা অ্যালকোহলিক ফ্যাট বলে। আর অতিরিক্ত তেল-মশলা, ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে লিভারে মেদ জমলে তা ‘নন-অ্যালকোহলিক’ ফ্যাটি লিভার বলা হয়। এটি আবার অনেক সময় বংশগত কারণেও হতে পারে। তবে যে কারণেই হোক ফ্যাটি লিভার নিয়ে সতর্ক না হলে লিভার সিরোসিস হয়ে যেতে পারে। লিভার নিজের কার্যক্ষমতা হারিয়ে তখন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে। চিকিৎসকরা বলেছেন, ফ্যাটি লিভার থেকে সুরক্ষিত থাকতে যাদের মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে তাদের এটি অবশ্যই বন্ধ করা জরুরি। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াও দরকার। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।