দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউরোপের একটি দেশ দাবি করে বলেছে যে, নারীশিক্ষা বাড়লে নাকি কমে যাবে জন্মহার। এতে করে ক্ষতি হবে অর্থনীতির!
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা বেড়ে গেলে নাকি অসাম্যের শিকারও হবেন পুরুষরা। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করেছে হাঙ্গেরি প্রশাসন!
এতে বলা হয় যে, উচ্চশিক্ষিত নারীরা বিয়ে করতে এবং বেশি সংখ্যক সন্তানধারণেও অনিচ্ছুক। তাই-ই নাকি কমে যাচ্ছে দেশটির জনসংখ্যা! সেইসঙ্গে উচ্চশিক্ষায় নারীর সংখ্যা বেড়ে গেলে নাকি অসাম্যের শিকার হবেন পুরুষরা। তাতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে এমন দাবি করেছে হাঙ্গেরি প্রশাসন।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সম্প্রতি শিক্ষা এবং সামাজিক অবস্থা নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করা হয়। তবে এতোদিন গোপনেই ছিল সেইসব রিপোর্ট। সম্প্রতি হাঙ্গেরির একটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায় সেই রিপোর্টটি। সেখানে বলা হয়, দেশের উচ্চ শিক্ষায় ক্রমশ বাড়ছে নারীদের সংখ্যা। শিক্ষাব্যবস্থায় নারীর সংখ্যাবৃদ্ধিকে কটাক্ষ করা হয় ‘গোলাপি শিক্ষাব্যবস্থা’ বলে! বিতর্কিত ওই রিপোর্টে এই কথাও বলা হয়, নারী শিক্ষায়নের কারণে ‘মেয়েলি’ ভাবনাচিন্তার প্রভাব বেড়ে যেতে পারে সমাজেও। তাহলে ধাক্কা খাবে লিঙ্গসাম্যও।
রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ইতিপূর্বেও ইউরোপের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তোপের মুখে পড়েন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। সমালোচনার মুখেও অবশ্য নিজের অবস্থানেই অনড় এই নেতা। উল্টে ঘোষণা করেন যে, হাঙ্গেরিকে তিনি ‘অনুদার গণতন্ত্র’ হিসাবে গড়ে তুলতে চান।
২০১০ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের সংবিধানেও একাধিক পরিবর্তন এনেছেন। দেশটির বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, ধর্মের নামে নানা রকম নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিচ্ছেন অরবান। পুরুষতান্ত্রিকতার কট্টর সমর্থক বলেও সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় তাকে।
এক পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নারী রাজনীতিবিদের সংখ্যার নিরিখে হাঙ্গেরি নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। নতুন রিপোর্ট সেই চিন্তাধারারই একটি প্রতিফলক বলে মনে করছেন দেশটির অনেকেই। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।