সকালের নাস্তায় রুটি-পাউরুটি খাওয়ার কারণে কী সমস্যা হতে পারে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই সকালের নাস্তায় প্রতিদিন রুটি বা পাউরুটি খেয়ে থাকি। কিন্তু পুষ্টিবিদরা সকালের নাস্তায় কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেতে একেবারেই বারণ করেছেন। এই বারণের কারণ কী?

সকালে বাইরে বের হতে তাড়াহুড়ো থাকলে অনেকেই নাস্তায় আলাদা করে কিছু বানান না। দুধ-কর্নফ্লেক্স খেয়ে নিয়ে থাকেন। ছুটির দিনে সকালের নাস্তায় অনেকের রুটি থাকে। কর্নফ্লেক্স, রুটি, পাউরুটি- এই ধরনের খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ থাকে বেশি।

পুষ্টিবিদরা বলেছেন, কার্বোহাইড্রেটযুক্ত এমন খাবার খালি পেটে না খাওয়াই ভালো। রোগা হওয়ার জন্যও অনেকেই কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলেন। সব ক্ষেত্রেই তা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। কারণ হলো শরীরে কার্বোহাইড্রেটেরও দরকার রয়েছে। তাই বলে দিনের প্রথম খাবারটা কার্বোহাইড্রেটযুক্ত না হওয়াই ভালো। কার্বোহাইড্রেট ডোপামিন, কর্টিসলের মতো ‘ফিল গুড’ হরমোন ক্ষরণেও এর প্রভাব ফেলে। যে কারণে সারাদিন মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। আর তাই সকালের নাস্তায় রাখুন প্রোটিনযুক্ত খাবার। তাতে সারাদিন শরীর থাকবে আরও চনমনে এবং চাঙ্গা।

কার্বোহাইড্রেটযু্ক্ত খাবার সকালে খেলে কী কী সমস্যা হবে?

# সকালে কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেলে পেটের মেদ আরও বাড়তে পারে।

# প্রোটিনের মতো দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে পারে না এই কার্বোহাইড্রেট। বার বার খিদে পেতে পারে। যে কারণে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খাওয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

# সকালের খাবারের উপর নির্ভর করে সারাদিন শরীরের হাল কেমন থাকবে। সারাদিন চনমনে থাকতে চাইলে দিনের শুরুটাও যেনো কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার দিয়ে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

# গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা থাকলে ভুলেও কখনও কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার সকালে কখনও খাবেন না। এতে করে গ্যাস কিংবা বদহজমের মতো অসুস্থতা আরও বেড়ে যেতে পারে।

সুস্থ-সবল থাকতে হলে সকালের নাস্তা কেমন হওয়া দরকার?

# প্রথমেই সকাল শুরু করুন এক গ্লাস পানি দিয়ে।

# নাস্তায় রাখুন ডিম সেদ্ধ, কাঠবাদাম, মৌসুমি ফলের মতো স্বাস্থ্যকর কিছু খাদ্য।

# ভারি কোনও নাস্তা খেতে চাইলে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। চিয়া বীজের পুডিং, দোসা, সব্জি দিয়ে তৈরি ওটস বা ইডলিও খেতে পারেন সকাল বেলায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।