দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সঞ্চালনা করার সময় সঞ্চালকদের অনেক কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। কারণ খবর পড়ার সময় অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে। যেমন মুখে মাছি ঢুকে যাওয়ার মতো ঘটনায় সঞ্চালক কী করতে পারেন সেটি আজ দেখুন।
একজন সঞ্চালকের অনেক কিছুই খেয়াল রাখতে হয়। তাদের সময়কে যথাযথ ব্যবহার করতে খেয়াল রাখতে হয়। লাইভ টেলিকাস্টে খবর পড়ার সময় অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে, তার জন্য প্রস্তুতও থাকতে হয় তাদের। বিশেষ করে কখনও বন্ধ হয়ে যেতে পারে টেলিপ্রম্পটার, কখনওবা যান্ত্রিক ত্রুটি, কখনও পর্দার ওপারে থাকা সাংবাদিক বা কোনও অতিথির কোনও মন্তব্য শুনে সেগুলোকে সামাল দেওয়া, আসলে সব প্রস্তুতিই রাখতে হয়। তবে তাই বলে মুখের মধ্যে মাছি ঢুকে গেলে তিনি কী করবেন?
এমনই একটি ঘটেছে কানাডার এক সঞ্চালকের সঙ্গে। একটি বেসরকারি চ্যানেলের সঞ্চালক ফারাহ নাসের যখন খবর পড়ছিলেন, ঠিক তখন তার মুখে ঢুকে পড়ে একটি মাছি। তারপর কী করলেন ফারাহ? সঞ্চালক নিজেই সেই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন ।
বেসরকারি ওই চ্যানেলটিতে খবর পড়ছিলেন সারাহ। এমন সময় তার মুখে ঢুকে পড়ে আস্ত একটি মাছি। তবে তারপরও নিজের কাজ থামাননি তিনি। বরং পেশাদারিত্বের খাতিরেই খবর পড়ে গেছেন বলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন ফারাহ। তার এই কাণ্ড কানাডার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও খবর হয়েছে।
তবে এই ঘটনার অন্য একটি দিকও রয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটার পর অন্য এক সংবাদমাধ্যম একটি অনুষ্ঠান করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, হালে কানাডাতে এমন বহু ঘটনাই ঘটেছে, যেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলার সময়ও অনেকেরই মুখে মাছি ঢুকে গেছে এবং তাতে কথা বলাতেও বাধা পড়েছে। এর পিছনে জলবায়ু সংক্রান্ত কোনও প্রভাব কিংবা পোকামাকড়ের বংশবৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনও বিষয় রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
সঞ্চালক সারাহ জানিয়েছেন, এই বিশেষ ঘটনার দিনে খবর পড়তে শুরু করার পূর্বেই তিনি বুঝতে পারেন, স্টুডিওতে একটি মাছি উড়ে বেড়াচ্ছে। সেটি কখনও কখনও তার মুখের আশপাশে এসেও উড়ছিল। তখন তিনি মনে মনে বারবার ভাবছিলেন, “আজ যেনো কোনও সমস্যার মধ্যে তাকে পড়তে না হয়, আজ যেনো মাছিটা আমায় না জ্বালায়।”
তবে তারপরও শেষরক্ষা হয়নি। মাছিটি ঠিকই তার মুখে ঢুকে পড়েছে। তবে সেই পরিস্থিতি তিনি যেভাবে সামলে নিয়েছেন, তা দেখে অনেকেই হতবাক হয়ে যান।
অনেকেই বলেছেন, সারাহ খুবই পেশাদারিত্ব মনোভাব দেখিয়েছেন। অন্য সংবাদমাধ্যমগুলোও তার এই কাণ্ডের প্রশংসা করেছেন। তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
দেখুন ভিডিওটি
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।