দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গায়ের গন্ধই বলে দিতে পারে আপনার পাশে বসা ব্যক্তিটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কি না! এর কারণ হলো ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে কিটোঅ্যাসিডোসিসের প্রাধান্যই থাকে বেশি।
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা নিঃশব্দে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট করে। নিয়ম মেনে খাবার, ওষুধ খেলে ও শরীরচর্চা করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। তারপরও কোনওভাবেই পুরোপুরি নিরাময় হয় না। প্রাথমিকভাবে পিপাসা বেড়ে যাওয়া, ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়া, বার বার খিদে পাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও ক্লান্ত বোধ হওয়া, ওজন কমে যাওয়া, ত্বকে কালচে ভাব দেখা দেওয়া, ক্ষত না শুকোনোর মতো লক্ষণগুলোকে ডায়াবেটিসের কারণ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়াও গায়ের গন্ধও বলে দিতে পারে আপনার পাশে বসা ব্যক্তিটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না। কারণ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে কিটোন অ্যাসিডের প্রাধান্যই থাকে বেশি।
‘কিটোন অ্যাসিড’ কী?
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন না থাকার কারণে রক্তে থাকা শর্করা এমনকি শক্তিও উৎপাদন করতে পারে না। শক্তি উৎপাদনের জন্য যকৃৎ ক্রমাগত স্নেহ জাতীয় পদার্থ ভাঙতেও চেষ্টা করে। এর ফলস্বরূপ কিটোন নামক অ্যাসিড তৈরি হয়ে যায়। রক্ত ও প্রস্রাবেও বিপজ্জনক হারে বাড়তে থাকে এই অ্যাসিডের মাত্রা। রক্তে পিএইচের ভারসাম্যও তখন বিঘ্নিত হয়।
শরীরে ‘কিটোন অ্যাসিড’ অত্যধিক হারে বেড়ে গেলে, তা সাধারণভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস, ঘাম ও প্রসাবের গন্ধের মাধ্যমে জানান দেয়। কখনওবা ফলের, ঝাঁঝালো অ্যামোনিয়া বা মলের গন্ধ পাওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কারা ‘কিটো অ্যাসিডোসিস’ এ আক্রান্ত হতে পারেন?
সাধারণ টাইপ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন গুরুতর অসুস্থ থাকলে, অস্ত্রোপচার হলে কিংবা নিয়মিত ইনসুলিন না নিলে কিটো অ্যাসিডোসিস হতে পারে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিটো অ্যাসিডোসিস হয় না বলা যায়। তবে দীর্ঘদিন ধরে রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করার মাত্রা কিটো অ্যাসিডোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়।
তবে যাদের ডায়াবেটিস নেই, তাদেরও অনেক সময় কিটো অ্যাসিডোসিস হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে শরীরে গ্লুকোজের অভাব দেখা দিতে পারে। শক্তি উৎপাদনের জন্য শরীর বাধ্য হয়েই কিটোজেনেসিস প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়।
এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, খাবারের তালিকায় সুষম ও পরিমিত কার্বহাইড্রেড সমৃদ্ধ খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে পারে। এতে করে কিটো অ্যাসিডোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ 4:04 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…