দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আয়ারল্যান্ডের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানীর সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে যে, মুখগহ্বর ঠিক মতো পরিষ্কার না করলে বেড়ে যেতে পারে যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়, কোলন এবং মলদ্বারের ক্যান্সারের আশঙ্কা।
লিভারের ক্যান্সার দেখা দেয় কেনো?
প্রকৃতপক্ষে ক্যান্সার কেনো হয়? নিশ্চিত করে বলতে পারেন না কেওই। তবে দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে ক্যান্সারের আশঙ্কা। এ কথা বারং বার বলে আসছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, যথাযথভাবে দাঁত না মাজলে বেড়ে যেতে পারে লিভার ক্যান্সারের আশঙ্কা।
আয়ারল্যান্ডের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী ব্রিটেনের ৪ লক্ষ ৬৯ হাজার মানুষের চিকিৎসার ইতিহাস খতিয়ে দেখেছেন এই গবেষকরা। ‘ইউনাইটেড ইউরোপিয়ান গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি জার্নাল’ নামে একটি বিজ্ঞানপত্রিকায় প্রকাশিত ওই গবেষণাতে দেখা যায়, মুখগহ্বর ঠিক মতো পরিষ্কার না করলে বেড়ে যেতে পারে যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়, কোলন এবং মলদ্বারের ক্যান্সারের আশঙ্কা। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, নড়বড়ে দাঁত এবং মুখের ঘায়ে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের ‘হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা’ দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও ৭৫ শতাংশ বেশি বলেও দাবি করা হয়েছে ওই গবেষণাতে। লিভারে যতো ধরনের ক্যান্সার হয়, তারমধ্যে হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমার সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
তবে কেনো এমন হয়? বিজ্ঞানীরা দু’টি সম্ভাব্য কারণের কথাও জানিয়েছেন। মুখগহ্বর ঠিকমতো সাফ না হলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাও তখন বেড়ে যায়। যা খুব কম সময়ে বিগড়ে দিতে পারে পেটের ভিতরের মাইক্রোবায়োম। পেটের গোলযোগ বেড়ে গেলেই তখন চাপ বাড়ে লিভারের উপর। যা ডেকে আনতে পারে হেপাটাইটিস বা লিভার সিরোসিসের মতো সমস্যা।
দ্বিতীয়ত: দাঁতের সমস্যা সৃষ্টি হলে মানুষ ঠিকভাবে চিবিয়ে খাবার খেতে পারেন না। কেও কেও আবার খাবার খাওয়াও কমিয়ে দেন। যে কারণে তখন খাবার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিগুণ পাওয়া সম্ভব হয় না। ঠিকমতো পুষ্টিগুণ না পেলে তখন ক্ষতি হয় লিভারের। যে কারণে বেড়ে যায় রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও। তাই আগে দাঁতের যত্ন নিতে হবে অর্থাৎ নিয়মিত দাঁত মাজতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ 11:17 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…