দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক স্থানে অনেকক্ষণ বসে কাজ করলেই অবসাদ আসে। তবে নিত্যদিন এভাবে চলতে থাকলে মনঃসংযোগের অভাবে কাজের ক্ষতি হবে সেটিই স্বাভাবিক। এর সমাধানে কী করবেন?
রাতে ঘুম হয়না তা কিন্তু নয়, রাতে ঘুম ভালই হয়। তবুও কাজের ফাঁকে বার বার হাই তোলেন অনেকেই। দুপুরে খাওয়ার পর যেনো কিছুতেই বসে থাকতে পারেন না? এক জায়গায় অনেকক্ষণ বসে কাজ করলেই অবসাদ আসে। তবে নিত্যদিন এভাবে চলতে থাকলে মনঃসংযোগের অভাবে কাজের ক্ষতিও হতে পারে। বার বার হাই তোলা, আড়মোড়া ভাঙার মতো উপসর্গ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চোখে আপনার প্রতি বিরূপ ধারণাও তৈরি করতে পারে। যে কারণে প্রতিদিন যদি এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তবে মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম।
কী করলে গতি আসবে কাজের?
# কাজের ফাঁকে অল্প অল্প পরিমাণ খাবার খেতে হবে। অনেকক্ষণ একই জায়গায় বসে, একই কাজ করলে ক্লান্ত লাগাই স্বাভাবিক। অফিসের কাজ করতে করতে মুখ চালান। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, বীজ, মাখনা, ডার্ক চকোলেট তৎক্ষণাত আপনার ক্লান্তি কাটিয়েও দিতে পারে। চীনা চিকিৎসাশাস্ত্রে বলা হয়, বার বার এই ধরনের ছোট ছোট খাবার মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন আরও বাড়িয়ে তোলে।
# সকালের নাস্তা বাদ দেবেন না। বরং দিন শুরু করুন কার্বহাইড্রেট ও দানাশস্য মেশানো যৌগ দিয়ে। ওট্স কিংবা মিলেট পরিজ, লাল চিঁড়ের পোলাও, লাল চালের ধোসা কিংবা ইডলি সকালের নাস্তার জন্য ভালো।
# চেয়ারে বসে বসেই একটু স্ট্রেচ করে নিতে পারেন। মেরুদণ্ড সোজা করে বসার অভ্যাস করুন।
# এক টানা বসে কাজ না করে, আধা ঘণ্টা অন্তর একবার করে হেঁটে আসুন। মাঝে-মধ্যে বিরতি নিলে ক্লান্ত ভাব কেটে যাবে, আবার কাজেও সৃষ্টিশীলতার ছাপ থাকবে।
# মিষ্টিজাতীয় খাবার ত্যাগ করুন। হঠাৎ রক্তে শর্করার উপস্থিতিতে ইনসুলিন ক্ষরণের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে গেলে অনেক সময়ই শরীর ক্লান্ত লাগে।
# আপনার ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে চা’ও খেতে পারেন। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ তুলসী-গ্রিন টি কিংবা অরেঞ্জ-মিন্ট টি কাজের অবসাদ কাটিয়ে মনকে ফুরফুরে করে তুলতে পারে অনায়াসে। সেইসঙ্গে শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন দূর করে ওজন বৃদ্ধির প্রবণতাও রুখে দিতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।