দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে বালিশে চুলের গোছা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এতে চুল ক্রমশ পাতলা হয়ে যায়। ঘন চুল পেতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতেই হবে।
যে কোনো পরব লাগলে কেনাকাটা থেকে রূপচর্চা- সবই চলে। নিজেকে আলাদা করে চেনাতে পরিশ্রম কম করেন না অনেকেই। পার্লারগুলোতে পা ফেলার জায়গাও থাকে না। তাই বলে তো সাধের সাজ-গোজ আটকে থাকতে পারে না। ঘরোয়া উপায়েই চলতে পারে চুুলের পরিচর্যা।
বাঙালিদের উৎসব-আনন্দের অন্যতম একটি অঙ্গই হলো সাজগোজ। শাড়ি, গয়না, রূপটান তো রয়েছেই। কেশসজ্জা সব কিছুকে ছাপিয়ে যায়। চুলের জেল্লা- সাজগোজের জৌলুস আরও কয়েক ধাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও সমানভাবে নজর দেওয়া দরকার। এজন্য কিছু নিয়ম মেনে চলুন।
ভিজে চুলে কখনও ঘুমাবেন না
অফিস থেকে ফিরে গোসল করেছেন। অথচ ভালো করে চুল না শুকিয়েই ঘুমিয়ে পড়ছেন। প্রায়ই এমন করেন। এতেও বাড়ছে চুল পড়ার পরিমাণ। ভেজা চুলের গোড়া অনেক নরম এবং দুর্বল থাকে। তাই চুলের ফলিকলগুলোও সবচেয়ে বেশি দুর্বল হয়। তাই ভেজা চুলে ঘুমালে চুল পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। চুল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে, ভিজে চুলে ঘুমানোর অভ্যাসও নানা ধরনের ফাঙ্গাল সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
চুল হালকা করে বেঁধে তারপর ঘুমান
চুল ছেড়ে ঘুমালে চুলের আগার দিক থেকে ভেঙে যাওয়ার প্রবণতাও থাকে বেশি। তাই ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে চুলগুলো হালকা করে বেঁধে নিন। এতে বালিশের সঙ্গে চুল ঘষা খাওয়ার আশঙ্কাও কম থাকবে। তবে বেশি শক্ত করে চুল বাঁধবেন না। এতে চুলের ফলিকল নষ্ট হতে পারে।
বালিশের কভার ব্যবহার করুন সিল্কের
চুল ভালো রাখতে হলে বালিশে সিল্কের কভার পরাতে পারেন। সিল্ক সাধারণত চুলের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখতে সাহায্য করে। বালিশে ঘষা খেয়ে চুল পড়ার যে আশঙ্কা, সিল্কের ঢাকার ক্ষেত্রে তেমনটি হয় না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।