দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বছরের পর বছর ধরে কার্বোহাইড্রেট খলনায়কের ভূমিকা পালন করে আসছে সেটি আমাদের জানা। তাই বলে উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারগুলো কিন্তু সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়ার কোনও কারণই নেই।
আমাদের মধ্যে যারা শরীর নিয়ে সচেতন, রুটিন মেনে খাওয়া-দাওয়া করেন তারা সকলেই ‘কার্বোহাইড্রেট’ শব্দটির সঙ্গেও পরিচিত। ক’দিন বাইরে খাওয়া হলো কি না হলো, ফোনে ক্যালোরি মাপার অ্যাপ্লিকেশন খুলে বসে পড়েন। অন্য কিছু না হোক, বেশি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় কম-বেশি সকলের মনেই রয়েছে। অর্থাৎ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বছরের পর বছর ধরে কার্বোহাইড্রেট খলনায়কের ভূমিকা পালন করে আসছে সেটিও আমাদের জানা। যদিও কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য কিন্তু অবশ্যই উপকারী। তাই বলে উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারগুলো সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়ার কোনও কারণই নেই। কারণ হলো, এমন কিছু খাবারে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেশি, যা শরীরের আবার উপকারও করে।
উচ্চ মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট থাকা সত্ত্বেও ৫টি খাবার খুবই স্বাস্থ্যকর। দেখে নিন সেগুলো।
কিনুয়া
কিনুয়া হলো এক ধরনের পুষ্টিকর বীজ। যা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই কিনুয়াতে রয়েছে ৭০ শতাংশ কার্বহাইড্রেট। উপরন্তু এতে কোনও রকম গ্লুটেন নেই। তাই এটি গমের একটি বিকল্প হিসাবেও খাওয়া যেতেই পারে।
ওট্স
ভিটামিন, বিভিন্ন খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের একটি দুর্দান্ত উৎস হলো এই ওট্স। এক কাপ কাঁচা ওট্সে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেট থাকে। একটি গবেষণায় বলা হয়, নিয়মিত ওট্স খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কম হয়।
কলা
একটি পাকা কলায় থাকে প্রায় ৩১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। তাছাড়াও, কলায় আরও রয়েছে পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬। পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে।
বিট
সাধারণ এক কাপ বিটে প্রায় ১০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। বিভিন্ন খনিজ ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর বিট রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে।
মিষ্টি আলু
আধা কাপ মিষ্টি আলুতে প্রায় ২১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাছাড়াও ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও পটাশিয়ামের ভাণ্ডার হলো এই মিষ্টি আলু। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।