দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চোখ হলো আমাদের শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর একটি অংশ। বয়সকালেও চশমা পরতে না চাইলে প্রতিদিনের জীবনে আনতে হবে কিছু পরিবর্তন। মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম।
কাজের চাপ, ব্যস্ততার কারণে অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর সুযোগই পান না। ঘুমের অভাবে বিশ্রাম পায় না চোখ। অথচ চোখের উপরেই যাবতীয় চাপ পড়ে। অফিসে সারাক্ষণ কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থেকে কাজ করা, মোবাইলের অত্যধিক ব্যবহার- সব ক্ষেত্রেই চাপ পড়ে চোখের উপর। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে চোখের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। চক্ষু চিকিৎসকরা বলেছেন, সঠিক পরিমাণে ঘুম চোখের যত্ন নেওয়ার অন্যতম পথ। কম ঘুম চোখের নীচে কালি, ফোলা ফোলা ভাব, চোখ লাল হয়ে যাওয়া- এমনকি ‘ড্রাই আইজ’-এর মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
চোখ শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর একটি অংশ। কম বয়সে চশমা পরতে না চাইলে প্রতিদিনের জীবনে আনতে হবে কিছু পরিবর্তন।
# চোখের পর্যাপ্ত যত্নের অভাব ছা়ড়াও খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, চোখের স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকরা বলেছেন, ভিটামিন এ, সি, ই, জিঙ্ক, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-সমৃদ্ধ খাবার চোখের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিনের খাবার থেকেই যদি এই পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার। সামুদ্রিক মাছ, শাকসব্জি, মৌসুমি ফলের মতো খাবার প্রতিদিন খান। ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার প্রত্যাহ পাতে রাখতে চেষ্টা করুন। ক্যারোটিনয়েড চোখের রেটিনার জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এই উপাদান রয়েছে এমন খাবার বেশি করে খেতে হবে।
# ওজন কমানো ছাড়াও চোখের যত্ন নিতে পারে নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস। শারীরিক কসরত শুধু যে মেদই ঝরায় তা নয়, এটি চোখের দৃষ্টিশক্তিও উন্নত করে। কার্ডিও, ওয়েট ট্রেনিং-এর মতো কিছু কসরত চোখের প্রতিটি পেশি ও কোষ সচল রাখে। মাঝে-মধ্যে অনেকেরই চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। প্রতিদিন ব্যায়াম করলে আর এমন হবে না। অনেকক্ষণ এক দৃষ্টে মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর চোখের বিশ্রাম দিন। চোখ বন্ধ করেও থাকতে পারেন। চোখের বেশ কিছু ব্যায়ামও হয়। সেগুলো জেনে নিয়ে তা করতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।
# দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণই হলো ডায়াবেটিস। এক সমীক্ষা বলছে, ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে চোখের সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়ে থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে রেটিনোপ্যাথি, ম্যাকুলার এডিমা, গ্লুকোমা এমনকি ছানির মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের তো বটে, যাদের ডায়াবেটিস নেই চোখ ভালো রাখতে তাদেরকেও সতর্ক হতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।