দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি নিয়মিত দাঁত মাজেন তারপরও দেখা যায় আপনার মুখের দুর্গন্ধ যেনো যাচ্ছে না। কিন্তু কেনো এমন হচ্ছে? তাহলে কী অন্য কোনো সমস্যা রয়েছে?
সাধারণত দাঁত, দাঁতের গোড়া, মাড়ি, জিভ, মুখগহ্বরে কোনও রকম সংক্রমণ হলেই মুখে দুর্গন্ধ হয়। এই ধরনের সমস্যা ছাড়াও আরও একটি কারণে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। কিছু কিছু পৌষ্টিক উপাদানের ঘাটতির কারণেও এমন হতে পারে। আবার পেট ও লিভারের সমস্যা থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
আপনি নিজেও বুঝতে পারছেন কারণ কথা বলতে গেলেই দূরে সরে যাচ্ছে মানুষ? এর কারণ হতে পারে মুখের দুর্গন্ধ। সাধারণত দাঁত, দাঁতের গোড়া, মাড়ি, জিভ, মুখগহ্বরের কোনও রকম সংক্রমণ হলেও অনেক সময় মুখে দুর্গন্ধ হয়। তাই খাওয়ার পর ঠিক মতো মুখ না ধুলে, কিংবা পর্যাপ্ত পানি না খেলেও মুখে গন্ধ হতে পারে। শুধু তাই নয়, পেট ওএবং লিভারের সমস্যা থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যা ছাড়াও আরও একটি কারণে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে- কিছু কিছু পৌষ্টিক উপাদানের ঘাটতির কারণেও এমনটি হতে পারে।
ভিটামিন ডি হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পৌষ্টিক উপাদান। এটি ক্যালসিয়াম শোষণ করতে শরীরকে সাহায্য করে থাকে। সেইসঙ্গে বজায় রাখে দাঁতের স্বাস্থ্য। তবে খাবার-দাবার থেকে সচরাচর এই উপাদান সহজেই পাওয়া যায় না। তাই অনেক ক্ষেত্রেই ভিটামিন ডি’র ঘাটতি দেখা যায় মানব শরীরে। দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি না থাকলে দাঁতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর তখন ক্ষয়ে যেতে পারে এনামেল। যে কারণে দাঁতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, যা মুখের দুর্গন্ধের কারণও হতে পারে।
ভিটামিন সি
মাড়ি হতে রক্ত পড়ার অন্যতম প্রধান কারণই হলো ভিটামিন সি-এর ঘাটতি। এই ভিটামিনের ঘাটতির কারণে মুখে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতও দেখা যায়। এই ক্ষত থেকে মুখে সংক্রমণও ঘটতে পারে। মুখে জীবাণু সংক্রমণ দেখা দিলেই দুর্গন্ধ তৈরি হওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়। লেবু জাতীয় ফল, ব্রকোলি বা বেরি খেলে এই ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ হতে পারে।
আয়রণ
রক্তাল্পতা কিংবা অ্যানিমিয়ার অন্যতম প্রধান কারণই হলো আয়রণের ঘাটতি। এই অ্যানিমিয়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। কাজেই দেহে আয়রণের ঘাটতি থাকলে তার লক্ষণও হতে পারে মুখের দুর্গন্ধ।
জিঙ্ক
অনেক সময় মুখগহ্বরে ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে গেলেও মুখে দুর্গন্ধ হয়। এই ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ আটকাতে হলে জিঙ্ক অত্যন্ত কার্যকর। আর দেহে জিঙ্কের পরিমাণ কমে গেলেই বেড়ে যেতে পারে মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা। তাই এমন সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।