দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিজেকে সুন্দর করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে একটানা জিম করে গেছেন। তবে কটা দিন ছুটি থাকায় এই অভ্যাসে ছন্দপতন ঘটেছে। তবে মাত্র কয়েকটি উপায়ে শরীরচর্চা করে চাঙ্গা হোন খুব সহজেই।
মাত্র কদিনের ছুটির কারণে কিছুতেই যেনো নিজের শরীরটাকে জিমে নিয়ে যেতে পারছেন না। তাছাড়া ডায়েট ভুলে উল্টোপাল্টা খাওয়াও হয়ে গেছে প্রচুর। উৎসবের মৌসুম এখনও শেষ হয়নি। আবার সামনেই আসছে শীতকাল, তখনও চলবে এমন খাওয়া-দাওয়া ও ঘুরে বেড়ানোর পর্ব। মাঝের এই সময়টুকু নিজেকে একটু অনুপ্রাণিত করতে না পারলে একবারে অনেকটাই খাটতে হবে।
টানা কিছুদিন বিরতির পর, শরীরচর্চা করতে ইচ্ছে না করলেও কীভাবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করবেন? আজ বিষয়টি জেনে নিন।
পাজ়ল মেলানোর খেলা
জোর করে কিছু না করে বরং শরীরচর্চাকে পাজ়ল মেলানোর খেলা হিসেবে ভাবতে থাকুন। পাজ়ল খেলায় যেমন ছোট ছোট টুকরো সাজিয়ে, আপনি আপনার লক্ষ্য পূরণ করে থাকেন, ঠিক তেমনিভাবেই প্রতিদিন একটু একটু করে নিজের লক্ষ্য পূরণ করুন।
অভ্যাস করুন
বলা হয় মানুষ অভ্যাসের দাস। শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া, খাওয়া-দাওয়া করার মতো প্রাত্যহিক যে কাজগুলো আপনি সচরাচর করে থাকেন, শরীরচর্চাকেও তার একটি অঙ্গ মনে করতে পারেন। কাজ হিসেবে ভাবলে শরীরচর্চা আপনার কাছে বোঝাও মনে হতে পারে।
নিজেই নিজেকে উৎসাহিত করুন
অপরের কথা শুনে অনুপ্রাণিত না হয়ে নিজেই নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন। কারণ হলো সবার পরিস্থিতি ও চাহিদা এক রকম নয়, সেটি আপনার সঙ্গে নাও মিলতে পারে। বরং আপনি আপনার পরিস্থিতিতে থেকেও যে শরীর চর্চা করতে পারছেন তার জন্য নিজেকেই ধন্যবাদ দিতে পারেন।
আনন্দসহকারে জিম করুন
শুধুমাত্র লক্ষ্য পূরণের আশায় শরীরচর্চা করবেন না। ভালোবেসে মন থেকে জিম করুন। যেমন- কোনও ভালো লাগার জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ থাকে ঠিক, তেমনিভাবে জিমকেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলতে হবে আপনাকেই।
নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হোন
অন্যের করা রেকর্ড ভাঙতে গিয়ে যতোটা আনন্দ হয়, তার চেয়েও বেশি আনন্দ হবে প্রতিদিন নিজেকেই নিজের রেকর্ড ভাঙতে দেখলে। যেমন- শুরুতে দশটা পুশ আপ করলেন। দিনে দিনে তা ২০টা, পরে ৩০টা পর্যন্ত। আর ঠিক এভাবেই আপনাকে লক্ষ্যে অবিচল থেকে জিম করতে হবে।
লক্ষ্য স্থির করুন
প্রথম দিকে সকলেরই লক্ষ্য স্থির থাকে। তবে যতো দিন গড়াতে থাকে সেই লক্ষ্য থেকে আপনিও বিচ্যুত হতে থাকেন। শরীরচর্চা অনেকটা অর্জুনের লক্ষ্যভেদ করার মতোই। ধৈর্য ধরে নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।