দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করা হচ্ছে রক্তে শর্করার পরিমাণ কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তা নিয়ে। তেমনই এক গবেষণাপত্রে এবার দাবি করা হয়েছে, একটি পেঁয়াজের রস খেলেই নাকি নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস!
বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিসের সমস্যা ঘরে ঘরে। এছাড়াও ডায়াবেটিস কখনও একা আসে না। এই রোগের হাত ধরেই আসে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা সমস্যা। রক্তে ইনসুলিনের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়া এর অন্যতম প্রধান কারণ। রক্তে শর্করার পরিমাণ কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তা নিয়েও গবেষণা কম নেই। তেমনই এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, যথাযথ পরিমাণে পেঁয়াজের রস খেলে নাকি নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে রক্তে শর্করার মাত্রা।
নাইজিরিয়ার ডেল্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সম্প্রতি ইঁদুরের উপর পেঁয়াজের রসের প্রভাব নিয়ে এক গবেষণা করেন। তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, ইঁদুরের উপর প্রতি কিলোগ্রাম দৈহিক ওজন পিছু ২০০ মিলিগ্রাম, ৪০০ মিলিগ্রাম এবং ৬০০ মিলিগ্রাম হারে পেঁয়াজের রস প্রয়োগ করেছেন তারা।
গবেষণার ফল বলছে যে, যেসব ইঁদুরের ডায়াবেটিস ছিল সেগুলোর ক্ষেত্রে পেঁয়াজের রসের প্রভাব বেশ জোরালো দেখা যায়। গবেষকরা দাবি করেছেন, ৪০০ ও ৬০০ মিলিগ্রাম হারে পেঁয়াজের রস প্রয়োগ করার কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ ‘বেস লাইন’ হতে যথাক্রমে ৫০ শতাংশ এবং ৩৫ শতাংশ হারে কমে গেছে। শুধু রক্তের শর্করার হারই নয়, পেঁয়াজের রসের প্রভাবে কমে গিয়েছে কোলেস্টেরল মাত্রা। তবে ইঁদুরের উপর কাজ করছে মানেই যে সেটি মানুষের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা এখনও দেওয়া হয়নি। কাজেই এখনই ডায়াবেটিস রোগীদের নির্বিচারে পেঁয়াজের রস খাওয়া উচিত, এমন কথা বলছেন না গবেষকরা। বরং এই পথ অনুসরণ করে আরও গবেষণা দরকার বলে মত দিয়েছেন তারা। সেইসঙ্গে, কী খাবেন ও কী খাবেন না, তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াও খুব জরুরি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।