দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে এই স্মার্টফোনের যুগে নিজের তথ্য সুরক্ষার জন্য বেশিরভাগ মানুষই ফোনে স্ক্রিন লক করে রাখেন। অনেক সময় লকস্ক্রিনের প্যাটার্ন ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও রয়েছে। স্ক্রিন লকের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করণীয় কী?
আমরা বেশির ভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী স্ক্রিন লক দিয়ে রাখি। আনলক করার জন্য পাসওয়ার্ড কিংবা প্যাটার্ন কোড দেওয়া লাগে। অনেকের ফোনেই আবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার কিংবা ফেস আনলকের ফিচারও রয়েছে। যার মাধ্যমে প্রাইভেসির দফারফা হওয়া আটকানো সম্ভব হয়। সেইসঙ্গে, ফোন চুরি হলে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাঙ্কিং অ্যাপ, ই-মেইল, সোশ্যাল মিডিয়ার নাগাল পাবে না প্রতারকরাও।
স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড, পিন কিংবা প্যাটার্ন ভুলে গেলে ও আনলক করতে না পারলে চিন্তা করার কিছুই নেই। আপনাকে কোনও পরিষেবা কেন্দ্রেই যেতে হবে না। ঘরে বসে নিজেই এইসব ডিভাইস আনলক করতে পারবেন।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস আনলক করার পদ্ধতি জেনে নিন:
যেমন গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে –
অন্য একটি স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারে google.com/android/devicemanager -ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
সেখানে গিয়ে গুগল অ্যাকাউন্টে Sign In করুন।
এরপর লগ ইন করার পর আপনার স্মার্টফোনটির নাম শো করবে। সেটি তখন সিলেক্ট করুন।
তখন সেখানে একটি অপশন পাবেন- ‘Lock’ । সেখানেই থাকবে নতুন পাসওয়ার্ড সেট করার অপশন।
এখন নতুন পাসওয়ার্ড সেট করুন। এবার সেই পাসওয়ার্ডটি ব্যবহার করে আপনার ফোন আনলক করে নিতে পারবেন।
যদি নিতান্তই উপায় না থাকে তাহলে ডিভাইস ফ্যাক্টরিটি রিসেট করুন
প্রথমেই, ফোনের সুইচ অফ করুন। তবে অবশ্যই ফুল চার্জ দিয়ে নেবেন।
তারপর টানা কিছুক্ষণের জন্য ভলিউম আপ কিংবা ডাউন (ফোনের উপর নির্ভর করে) বাটন এবং পাওয়ার বাটন একসঙ্গে চেপে ধরে রাখুন।
এটা করলেই ফোন রিস্টোর মোডে চলে যাবে। তখন ফ্যাক্টরি রিসেটের অপশন দেখাবে। ‘ক্লিন/ইরেজ ডেটা’ ও ‘ক্যাশে’তে ট্যাপ করতে হবে।
প্রায় এক মিনিট অপেক্ষা করার পর স্মার্টফোন চালু করলে, তখন কোনও পাসওয়ার্ড কিংবা প্যাটার্ন চাইবেই না। তবে কোনও ডেটা ব্যাকআপ না থাকলে সেটা পানিতে যাবে। তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।