দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জাম খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। তবে যাদের ডায়াবেটিস নেই, তারা জাম খেলে কী কী উপকার পাবেন?
অনেকেই মনে করেন শুধুমাত্র রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্যেই মনে হয় জাম খেতে হয়। তবে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা তো বটেই, শরীরের আরও নানা উপকারে আসে এই জাম। তাহলে কী কী উপকার করে এই জাম?
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে
ভিটামিন সি ও আয়রণে ভরপুর জাম রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে। রক্তের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছালে শারীরবৃত্তীয় কাজ কর্মও সঠিক হয়।
ব্রণের সমস্যা দূর করে
এই জামের মধ্যে রয়েছে ‘অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট’ জাতীয় এক উপাদান। যা তৈলাক্ত ত্বক থেকে অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যে কারণে ব্রণের সমস্যা দূর হয়।
চোখের যত্নে
চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো ভিটামিন এ। জামের মধ্যে এই ভিটামিনটি রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। তাই চোখ ভালো রাখতে গেলে যেহেতু এটি সিজেনাল ফল তাই যে কয়েকটি দিন জাম পাওয়া যায়, খেয়ে নেওয়াই ভালো।
হার্টের জন্যও ভালো জাম
১০০ গ্রাম জাম থেকে পটাশিয়াম পাওয়া যায় প্রায় ৫৫ গ্রাম পরিমাণ। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই পটাশিয়ামটি। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ধমনী সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও এড়াতে জাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেনপুষ্টিবিদরা।
মাড়ির সমস্যা
মাড়ি থেকে রক্ত পড়া কিংবা দাঁতের সমস্যা মেটাতেও জাম বেশ কার্যকরী। এই ক্ষেত্রে জাম খাওয়ার পাশাপাশি জামের গুঁড়ো মাজন হিসেবেও ব্যবহার করলে বেশ উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।