দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তরুণদের মধ্যে সাফল্যের আকাঙ্খা এবং অনুপ্রেরণা জাগানোর লক্ষ্যে টেড’এর লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডিপিএস এসটিএস (দিল্লি পাবলিক) স্কুল ঢাকা সম্প্রতি “টেডএক্সডিপিএসএসটিএসস্কুল” শিরোনামে এক জমকালো আয়োজন করে।
জনপ্রিয় টেডএক্স ইভেন্টের এই সিক্যুয়েল গতকাল (১৫ অক্টোবর, ২০২২) ডিপিএস এসটিএসের সিনিয়র ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের মূলধারা- “মাইন্ড ওভার ম্যাটার” -এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের বিভিন্ন কার্যক্ষেত্র থেকে বেশ কিছু সফল এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন, যাদের সাফল্যের গল্প হতে উপস্থিত তরুণেরা সীমাবদ্ধ গন্ডি থেকে বেরিয়ে আসার, লক্ষ্য অর্জনের পথে বাধা অতিক্রম করার এবং আত্মশক্তির মাধ্যমে নিজ দক্ষতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছানোর অনুপ্রেরণা লাভ করে।
“টেড” সংস্থার অধীনে “টেডএক্স” মূলত এমন একটি উদ্যোগ, যা সমাজে বাস্তবমুখী পরিবর্তনের চর্চা উদ্বুদ্ধ করে থাকে।
দিনব্যাপী এই টেডএক্সডিপিএসএসটিএসস্কুল আয়োজনে অতিথি বক্তা ও অংশগ্রহণকারীরা দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে চিন্তার উদ্রেক ঘটানো বিভিন্ন বিষয় আলোচনা-পর্যালোচনা করেন। উপস্থিত সকলে আগ্রহের সঙ্গে এতে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তাদের মধ্যে ছিলেন গোলাম সামদানি ডন, কর্পোরেট ট্রেইনার ও ডন সামদানি ফ্যাসিলিটেশন অ্যান্ড কনসালটেন্সি’র চিফ ইন্সপিরেশনাল অফিসার; মানিজে ইব্রাহিম, লেখক, আইনজীবী এবং ইব্রাহিম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ডিরেক্টর অব লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স; মোঃ তাজদীন হাসান, মিশন সেভ বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং দ্য ডেইলি স্টারের চীফ বিজনেস অফিসার; আনিকা রাব্বানী, ওয়ার্ল্ড ইয়োগা অ্যালায়েন্সের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত যোগব্যায়াম প্রশিক্ষক ও যোগব্যায়ামের স্কুল ইয়োগানিকা’র প্রতিষ্ঠাতা; ডেবোরা এফ্রয়মসন, লেখক, সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং দ্য ইনস্টিটিউট অফ ওয়েলবিয়িং বাংলাদেশ’এর অ্যাক্টিং এক্সিকিউটিভ অফিসার; রিজওয়ানা হৃদিতা, হাইড্রোকোপ্লাস ও লিংউইং-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং চীফ অপারেটিং অফিসার; রাকিন আবসার, জনপ্রিয় ডিজিটাল কন্টেন্ট নির্মাতা; সাদমান সাদিক, টেন মিনিটস স্কুল’এর এডুকেটর এবং একাধিক সেলফ-হেল্প বইয়ের সহ-লেখক; সাজিদ আসবাত খন্দকার ও সৌরদীপ পাল, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ ডিবেটিং কম্পিটিশন (ডব্লিউইউডিসি) ২০২২ এর বিজয়ীগণ; এবং শাহ রাফায়াত চৌধুরী, পুরস্কারজয়ী পরিবেশবিদ ও ফুটস্টেপস বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
টেডএক্সডিপিএসএসটিএসস্কুল অংশগ্রহণকারীদের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে আরও শাণিত করতে এক ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা প্রদান করে। সফল এই আয়োজনটি পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ’এর মোনাশ পাথওয়েজ ও এম এ তৈয়ব লিমিটেড। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা’র প্রিন্সিপাল ডক্টর শিবানন্দ সি এস। এসটিএস গ্রুপের হায়ার এডুকেশন উইংয়ের সিইও ড. সন্দীপ অনন্তনারায়ণও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ডিপিএস এসটিএস এর সিনিয়র লিডারশিপ টিম-সহ স্কুলের শিক্ষার্থী ও নিবন্ধনকারীগণ এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
টেডএক্সডিপিএসএসটিএসস্কুল আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন শালিনী আগারওয়ালা, ডিন অফ অ্যাক্টিভিটিস। এ সম্পর্কে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা’র অধ্যক্ষ ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, “টেডএক্স’এর আলোচনা অন্যান্য নানা আয়োজন থেকে আলাদা, কারণ এটি নির্ধারিত শ্রোতাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরভাবে উপস্থাপনা করে থাকে। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সাফল্য অর্জনকারীরা নিজেদের যাত্রা এবং ব্যক্তিগত সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন, এবং সেগুলো অতিক্রম করার জন্য নিজেদের অবলম্বন করা কৌশলগুলোও শিখিয়ে দেন। এটা তাই নিছকই বক্তৃতা নয়; এটি রীতিমতো তাদের সাফল্যের পথে হেঁটে চলার ধারাবিবরণী। টেডএক্সডিপিএসএসটিএসস্কুল আয়োজনের পেছনে আমাদের উদ্দেশ্যই ছিল সব উজ্জ্বল প্রতিভাবানদের এক ছাদের নিচে একত্র করা। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা আইডিয়া অর্থাৎ ধারণাকেন্দ্রিক আলোচনার ক্ষেত্র তৈরিকে উদ্বুদ্ধ করেছি, সেই সঙ্গে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন সাধনের বার্তা দেওয়ার চেষ্টাও করেছি”। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।