দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় দেখা যায়, ঘুম থেকে উঠেই মাথাব্যথা করছে, গা ম্যাজ ম্যাজ করা, দুর্বল লাগা এগুলো খুব সাধারণ লক্ষণ। ঘুমের ঘাটতির কারণে এমনটি হতে পারে। এমন অবস্থায় কী করতে হবে?
শরীরে বিভিন্ন রোগের আনাগোনার অন্যতম কারেই হলো সঠিক পরিমাণে ঘুম না হওয়া। সুস্থ থাকার অন্যতম ভিত্তিই হলো পর্যাপ্ত ঘুম। বর্তমান প্রযুক্তির এই যুগে ঘুমেরই সবচেয়ে বেশি অভাব দেখা যায়। ঘুম কম হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও তখন কমে যায়। আর তখন ওজন বাড়তে থাকে। অজান্তেই আরও অনেক সমস্যা শরীরের অন্দরে আসতে থাকে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মানব দেহের জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই তা মানতেও চান না। তাতেই দেখা দেয় সমস্যা। ঘুম কম হলে শুধু শরীরই নয়, বিগড়ে যায় মন। আর তখন ঘুম থেকে উঠেই মাথাব্যথা, গা ম্যাজ ম্যাজ করা, দুর্বল লাগা এগুলো খুব সাধারণ লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়। অনেকেরই এমনটি হয়। আসলে এগুলো হলো ঘুমের ঘাটতির কারণেই হয়ে থাকে। সারাদিনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সর্বোচ্চ কতোক্ষণ ঘুম প্রয়োজন?
এই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। শরীর সুস্থ রাখতে অন্ততপক্ষে এটুকু ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজন। নয়তো অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যাবে শরীর। কম ঘুম অবসাদ ও মানসিক উদ্বেগেরও কারণ হয়ে উঠতে পারে। মস্তিষ্ক সংক্রান্ত আরও অনেক রোগের জন্ম হতে পারে অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণেই।
কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন ঘুমের ঘাটতি তৈরি হয়েছে?
সকালে উঠেই মাথাব্যথা, দুর্বল ভাব লাগা। অফিসে গিয়ে সারাক্ষণ ঝিমুনি ভাব থাক। দরকারি কোনও কথা কিংবা তথ্য ভুলে যাওয়া। সব রকম সতর্কতা মেনে চলার পরও ওজন বেড়ে যায় অনেক সময়। এই ক্ষেত্রে একমাত্র কারণ হলো ঘুমের ঘাটতি। ভালো ঘুম না হলে হজমও ঠিকঠাক হয় না। ভালো বিপাকক্রিয়া উন্নত না হলে ওজন বাড়ার মতো আরও অনেক সমস্যাও হতে পারে। চিকিৎসকদের তথ্য অনুযায়ী, ৮ ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি। সব সময় তা হয় না। সে ক্ষেত্রে দিনে যদি অল্প অল্প করে ঘুমিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে রাতে ঘুম না হওয়ার আরও একটি বড় কারণ হলো ইনসমনিয়া। অনেকেই আবার ঘুমের ওষুধও খান। এই অভ্যাস একেবারেই ভালো নয়।
ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা অপর্যাপ্ত ঘুমের আরও একটি বড় লক্ষণ। অথচ অনেকেই এর বিপরীতটাও ভাবেন। অনেকেরই মনে হয় যে, নাক ডাকা হলো গভীর ঘুমের লক্ষণ। তা কিন্তু একেবারেই নয়। ঘুমের মধ্যে নাক ডাকছেন মানেই আপনার ঘুম ঠিক হচ্ছে না। সে কারণেই এমনটি হচ্ছে।
স্বাস্থ্যকর ঘুম আসতে পারে কীভাবে?
# ঘুমের পূর্বে মোবাইল ঘাটাঘাটি এবং টিভি দেখা বন্ধ করুন। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে মোবাইলের ব্যবহার বন্ধ করাটা খুবই জরুরি।
# ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ভািরিকোনও খাবার খাবেন না। এতে করে হজমের গোলমালের কারণে ঘুমের ব্যাঘাতও ঘটতে পারে।
# চিকিৎসকরা বলেছেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কফি কিংবা চা বেশি না খাওয়াই ভালো। কফিতে থাকা ক্যাফিন অনিদ্রার কারণও হতে পারে।
# রাতের খাবার খেয়ে উঠেই মিনিট দশেক হেঁটে নিন। এতে করে শরীর ক্লান্ত হবে এবং তখন ঘুম চলে আসবে খুব তাড়াতাড়ি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।