দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঋতু বদলের সময় গলা ব্যথা হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতেই এই সমস্যা কমাতে পারেন খুব সহজেই। এক্ষেত্রে তুলসী, আদা চাসহ আরও কিছু জিনিস ব্যবহার করতে পারেন।
শীত আসছে অর্থাৎ ঋতুর পরিবর্তন হচ্ছে। তীব্র গরম থেকে এবার আবহাওয়া খানিকটা ঠাণ্ডা হওয়ার পথে। এমন এক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সতর্ক হওয়াটা সবথেকে বেশি জরুরি। কারণ এই সময় বাড়ছে সর্দি, কাশি। এমনকি গলা ব্যথার ঘটনাও ঘটছে। তবে গলা ব্যথা হলে কোনো ওষুধ নয়, ঘরোয়া উপায়েই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
এই গলা ব্যথা যে কোনও বয়সের মানুষেরই হতে পারে। সে ক্ষেত্রে শরীরের এই অংশে ব্যথা হলে অনেকেই অ্যালোপ্যাথি নানা রকম ওষুধ খেয়ে থাকেন। এবার মডার্ন মেডিসিন আপনি খেতে পারেন। তবে তার আগে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করাই ভালো।
আয়ুর্বেদ মতে, আমাদের চারপাশে প্রকৃতি সাজিয়ে রেখেছে নানা রকম ওষুধ। শুধু সেই ওষুধই খুঁজে নিতে হবে। এরপর তা ব্যবহার করলেই অনেক অসুখের সহজ সমাধান হবে।
সাধারণত গলা ব্যথা ভাইরাস আক্রমণের কারণেও হতে পারে। তবে সমস্যার পিছনে যাই থাকুক না কেনো, ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করা যাবে:
# গার্গল করুন
গলা ব্যথার একেবারে অব্যর্থ দাওয়াই হলো এই গার্গল করা। সকালে উঠে পানি ফুটিয়ে নিন। এরপর সেই পানি সহ্য যোগ্য অবস্থায় এলে গার্গল করুন। একটু লবণ ফেলে দিতে পারেন পানিতে। লবণ পানিতে গার্গল করলে অনেক গুরুতর সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
গরম পানিতে ভাপ নিন
গলা ব্যথা কমাতে হলে আপনি গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। ভাপ নিলে শরীরের এই অংশে ব্যথা কমে আসবে। সে ক্ষেত্রে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর একটা টাওয়েলে মাথা ঢেকে পানির ভাপ নিন। এভাবেই করলে সমস্যা কমে যাবে।
আদা এবং তুলসী চা খান
আদা এবং তুলসী চা খেতে পারেন। আসলে আদা খেলে কিংবা তুলসী চা খেলে খুব সহজেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কারণ আদাতে রয়েছে প্রহাদনাশক ক্ষমতা। তুলসী পাতা ঠাণ্ডা, গলা ব্যথার ক্ষেত্রে ধন্বন্তরি। তাই এই দুই জিনিস একসঙ্গে মেশানো চা খেতে পারেন অনায়াসে।
পান করুন গরম পানি
পানি আমরা সবাই খাই। তবে এবার গরম পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ গরম পানি পান করতে পারলে অনেক গুরুতর অসুখ কমে যাবে। এই ক্ষেত্রে গরম পানি খেলে গলায় আরামও লাগে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।