দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরীক্ষায় নকল হওয়া একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। শিক্ষকরা চেষ্টা করেও যেনো থামাতে পারেন না নকল। তাইতো এবার এক অভিনব পন্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অদ্ভুত এক ‘টুপি’র ব্যবহার করা হলো!
একজন পরীক্ষার্থী অন্য পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে অজানা প্রশ্নের উত্তর জেনে লেখা যেনো এক রীতিতে পরিণত হয়েছে। এই অবৈধ পন্থা চেষ্টা করেও বন্ধ করা যাচ্ছিল না। তাই এবার পরীক্ষায় নকল ঠেকাতে অদ্ভুত এক ‘টুপি’র ব্যবহার করা হলো।
নকলের কারণে পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের সামলানোই কঠিন হয়ে পড়ে সেই কেন্দ্রে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকার। তাই ‘নকল’ করা ঠেকাতে শেষমেশ ‘টুপি’ পরার নির্দেশ দিয়েছেন একটি কলেজের শিক্ষিকা। ফিলিপিন্সের লেগাজপি সিটিতে ঘটেছে এমন ঘটনা।
পরীক্ষা দেওয়ার সময় কেন্দ্রে উপস্থিত সকল পরীক্ষার্থীকে টুপি কিংবা ‘হেড গিয়ার’ পরে পরীক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এক কলেজের শিক্ষিকা মেরি জয় ম্যানডেন ওর্টিজ। পরীক্ষা দেওয়ার সময় যেনো কেও নকল করতে না পারে, তাই এই নির্দেশ দিয়েছেন।
মেরি জানিয়েছেন যে, তাদের কলেজে মিড টার্ম পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, এমন এক ধরনের টুপি কিংবা মুখোশ বানাতে, যা পরলে ডান দিক- বাঁ দিক- কোনও দিকেই তাকানো যাবে না।
তিনি জানিয়েছিলেন যে, পরীক্ষার্থীরা নিজেদের ইচ্ছা মতোই আকার দিতে পারেন, আঁকিবুকিও করতে পারেন ওই ‘হেডগিয়ার’-এ। পরীক্ষার ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে যান শিক্ষিকা নিজেও। পরীক্ষার্থীদের কেও কেও মাথায় ডিম রাখার বাক্স চাপিয়ে এসেছেন, আবার কেও কেও তাদের প্রিয় কার্টুন চরিত্র এঁকে নিয়ে এসেছেন সেই টুপিতে! কারও মাথায় কার্ডবোর্ড, আবার কারও মাথায় অন্যান্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিস দিয়ে বানানো হয়েছে ‘হেডগিয়ার’!
এক সাক্ষাৎকারে মেরি জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের নকল করা থেকে বাধা দিতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে সে ক্ষেত্রে কোনও মুখোশ নয়, ‘ইয়ার ফ্ল্যাপস’ ব্যবহার করেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীদের মাথার দু’পাশ থেকে কাগজ দিয়ে লম্বা কানের মতো একটি জিনিস বানানো হয়েছিল যা পরে আশপাশে তাকালে কিছুই দেখা যাবে না।
ঘরভর্তি পরীক্ষার্থীদের ছবি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেছেন মেরি। সমাজমাধ্যমে অদ্ভুত টুপি পরা এই ছবি প্রকাশ্যে আসায় নেটিজেনরাও এই বিষয়ে কম আগ্রহ দেখাননি। অনেকেই এই অভিনব পরিকল্পনার প্রশংসা করলেও কেও কেও এর নিন্দাও করেছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।