দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা মনে করি বয়স ৬০ পেরোলে তবেই ছানির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, এখন ৩০–৪০ বছর বয়সি ব্যক্তিদেরও ছানিতে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে চোখ। তাহলে বুঝবেন কীভাবে?
আমরা জানি বয়স বাড়লে চুলে পাক ধরে, ত্বকে বলিরেখা ফুটে ওঠে, তেমনিভাবে ঝাপসা হয়ে আসতে পারে চোখের দৃষ্টি। চোখের ছানি কিংবা চোখের লেন্সের ঝাপসা হয়ে আসা হলো, চোখের প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। অবহেলা করলে এর ফল হতে পারে মারাত্মক। এমনকি দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। অনেকেই মনে করেন, বয়স ৬০ পেরোলে তবেই এই ধরনের সমস্যা দেখা দেবে। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, বর্তমান সময় ৩০– ৪০ বছর বয়সি ব্যক্তিদের চোখও ছানিতে ঝাপসা হয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
অল্প বয়সেও কেনো দেখা দিতে পারে ছানি সমস্যা?
# ডায়াবেটিস বা মধুমেহ থাকলে কম বয়সেও ছানি পড়ার ঝুঁকি বাড়ে।
# সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে অনেক সময় মানবদেহের চোখের লেন্স ঝাপসা হয়ে যেতে পারে।
# কারও যদি বংশে এই সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে অনেক সময় অল্প বয়সেও ছানি পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
# অল্প বয়সে ছানি পড়ার আরও একটা বড় কারণ হলো ‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’। এটি এক ধরনের অ্যালার্জি। চোখের পেশির কার্যক্ষমতা কমে গেলেও অনেক সময় দেখা দিতে পারে ছানির অসুখ।
# সাধারণত যাদের চোখে খুব বেশি ‘মাইনাস পাওয়ার’ থাকে অর্থাৎ মায়োপিয়া থাকে তাদেরও চোখে ছানি পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। রাতকানা রোগ থাকলেও কম বয়সে ছানি পড়ার ঝুঁকি থাকে বেশি।
করণীয় কী?
সাধারণভাবে ছানি প্রতিরোধ করার বিশেষ কোনও উপায় হাতে নেই। তবে ছানি পড়লে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। তাই অল্প থাকতেই চিনতে হবে ছানির উপসর্গ আসলে কি। ছানি পড়লে সব কিছু নিষ্প্রভ লাগে। তখন ‘কনট্রাস্ট ভিশন’ও কমে যায়, আর ধূসর লাগে। বিশেষ করে অল্প আলোতে দেখতে খুব অসুবিধা হয়। আবার রাতে জোরাল আলো চোখে পড়লেও খুব কষ্ট অনুভব হয়। তাই চোখে সমস্যা হলেই অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।