দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নানা কারণে অল্প বয়সেও শরীরে নানা ক্রনিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমাতে দৈনিক ব্যস্ততার মধ্যেও কিছু নিয়ম মেনে চলাটা অত্যন্ত জরুরি।
আমরা মনে করি বয়স বাড়লেই বোধ হয় ডায়াবেটিস হয়। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। ডায়াবেটিস বয়সের বাধা মানে না- যে কোনও বয়সেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে এই রোগটি। এক সময় পর্যন্ত অনেকের ধারণা ছিল, ডায়াবেটিস বোধ হয় কেবলমাত্র বার্ধক্যের রোগ। বয়স ৫০ পেরোলে তবেই রক্তে বাড়ে শর্করার পরিমাণ। তবে সেই ভাবনা এখন অতীত হয়েছে। ডায়াবেটিসের থাবা যে কোনও বয়সের শরীরেই হানা দিতে পারে। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। নয়তো কম বয়সে ডায়াবেটিসের কারণে আরও অনেক শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।
আধুনিক জীবনযাত্রায় অনিয়মটাই যেনো নিত্যদিনের ঘটনা। বিশেষ করে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, অপর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম, কাজের চাপ- এ সব কারণে অল্প বয়সেই শরীরে নানা ক্রনিক সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমাতে প্রাত্যহিক ব্যস্ততার মধ্যেও কিছু নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
দেহের অতিরিক্ত ওজনই হলো ডায়াবেটিস হওয়ার অন্যতম কারণ। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা তখন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো যায়- জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এতে শুধু যে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমে, তাই নয়, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো কিছু রোগ থেকেও দূরে থাকা যাবে। তাই সবার জন্যই ওজন কমানো অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।
নিয়মিত শরীরচর্চা
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে হলে নিয়মিতভাবে শরীরচর্চা করা জরুরি। সারাদিন বিভিন্ন কারণে আমাদের দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটিই একমাত্র নয়। প্রচুর পরিশ্রম করেও অনেকেই ডায়াবেটিসের শিকার হয়ে থাকেন। শরীরের প্রতিটি অঙ্গের ক্রিয়াকলাপই সচল রাখতে হলে শারীরিক কসরত করাটা জরুরি। দিনে অন্তত কিছুক্ষণ সময় বের করে বাড়িতে যোগাসন, ব্যায়াম করে নিতে পারেন। সময় ও সুযোগ থাকলে জিমেও যেতে পারেন।
খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে
প্রতিদিন পাতে কী খাবার থাকছে, তার উপর অনেকাংশেই নির্ভর করছে আসলে শরীর কেমন থাকবে। সময়ের অভাবে বর্তমানে অনেকেই ভরসা করেন বাইরের খাবারের উপর। নিয়মিত তেল-ঝাল মশলাদার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও শরীরের অন্দরে নানা রোগের জন্ম দিতে পারে। যারমধ্যে একটি হলো ডায়াবেটিস। সুস্থ থাকতে বাড়ির তৈরি খাবার বেশি করে খেতে হবে। সবুজ শাক-সব্জি, ফলমূল ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টাও করতে হবে।
না খেয়ে থাকা যাবে না
‘ডায়েট’-এর অর্থ অনেকের কাছেই না খেয়ে থাকা মনে হতে পারে। নামমাত্র খাওয়াটাই অনেকের কাছে ডায়েট মনে হয়। অথচ পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, এটিই সবচেয়ে বড় ভুল। পরিমাণে কম খেতে হবে। তবে তা সময় মতো খাওয়ার কথাও বলছেন তারা। নয়তো রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও একশো শতাংশ নিশ্চিত বলা যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।