দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উপকারিতার কথা জানার পরেও ঝামেলার ভয়ে লোহার বাসনে রান্না করা থেকে দূরে থাকেন অনেকেই। তবে ঘরোয়া কয়েকটি টোটকা জানলে সহজ হবে সেই কাজটি। কীভাবে?
অনেকেই মনে করেন যে, লোহার বাসন বা কড়াইয়ে রান্না করাই আসলে ভালো। এতে শরীরে আয়রণের চাহিদা মেটে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিশেষ করে শিশুদের খাবার লোহার পাত্রে রান্না করলে, তাদের আয়রণের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হয়। এমনকি, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও আয়রণের ঘাটতি মেটাতে পারে এই ধরনের বাসনে ব্যবহার। স্টিল কিংবা অন্য ধাতুর বাসনের মতো লোহার বাসন অতোটা পাতলা হয় না। লোহার বাসনপত্র অনেক বেশি ভারিও হয়ে থাকে। তাই পরিষ্কার করার ঝক্কিও থাকে অনেক। হলুদ, মশলার দাগ লোহার কড়াই থেকে সহজেই উঠতে চায় না। উপকারিতার কথা জেনেও অতিরিক্ত খাটনির ভয়ে লোহার বাসনে রান্না করা থেকেও দূরে থাকেন। লোহার বাসনপত্র পরিষ্কার করা সত্যি দুষ্কর একটা ব্যাপার। তবে ঘরোয়া কয়েকটি টোটকা জানলে এই কাজটি হবে সহজ।
ভিনেগার ব্যবহার
পরিবেশবান্ধব একটি উপাদান হলো এই ভিনেগার। পরিষ্কার করার ক্ষমতা অন্য অনেক উপকরণের চেয়ে অনেক বেশি। লোহার বাসনপত্র পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার করতে পারেন এই ভিনেগার। লোহার বাসনের পোড়া দাগের উপর কয়েক ফোঁটা ভিনেগার দিয়ে ভালো করে গায়ের সব শক্তি দিয়ে ঘষতে থাকুন। এতে দ্রুত সময়ের মধ্যে দাগ চলে যাবে।
বেকিং সোডার ব্যবহার
২ কাপ পানির মধ্যে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি কড়াইয়ের দাগের উপর দিয়ে একটি ট্রুথ ব্রাশ দিয়ে ঘঁষে নিতে হবে। এতেই দাগ বা জং সহজেই দূর হবে। এতে বাসনের কোনও ক্ষতি হবে না। বাসনও হয়ে উঠবে চকচকে।
লেবুর রস ব্যবহার
সমপরিমাণ লেবুর রস ও বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি বাসনপত্রে মাখিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ রেখে দিন। ১০/২০ মিনিট বাদে ভালো করে প্রত্যেকটি বাসন মেজে নিতে হবে। ধীরে ধীরে মাজতে মাজতে দেখবেন যে বাসনের দাগ আর নেই। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।