দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩০ পেরোতেই ভুলে যাচ্ছেন অনেক কিছু? ঘরের চাবি, চশমা কোথায় রাখছেন, কিছুতেই যেনো মনে থাকছে না? এমন সমস্যায় মস্তিষ্কের যত্ন নিতে প্রতিদিন পাতে কোন খাবারগুলো রাখবেন তা জেনে নিন।
ঘর থেকে বের হওয়ার আগে মাকে বলে গেলেন বিকালে তৈরি হয়ে থাকার জন্য। অফিস থেকে ফিরেই কেনাকাটা করতে যাবেন। অথচ বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। সে কথা আর মনেই রইলো না আপনার। এমন আরও অনেক কিছু রয়েছে যেগুলো আপনি প্রায় প্রতিদিনই ভুলে যাচ্ছেন। এর কারণ কী? বয়স ৩০ পেরোতেই আপনার এমন অবস্থা! দিনতো আর অনেকটা পড়ে রয়েছে আপনার সামনে, তখন কী হবে?
ব্যস্ততার সময় সব কিছু ভুলে যাওয়ার এমন সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। তবে এমন ভুলে যাওয়ার বিষয়টি যদি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে, তাহলে বেশ সমস্যা। অনেকেই সে জন্য বেশ কিছু উপায় গ্রহণ করেন। কেও কেও ফোনে অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন। কেও আবার রিমাইন্ডার দেন। আবার কেও ফোনেও লিখে রাখেন। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৩০ বছরের পর থেকে এমন হতে থাকলে যন্ত্র-নির্ভর না হয়ে বরং ভিতর থেকে যত্ন নিতে হবে মস্তিষ্কের। আর তাই প্রতিদিন পাতে রাখতে হবে কয়েকটি খাবার।
ব্লু বেরি
ব্লু বেরি যা আমাদের এই ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে। এর রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে ব্লুবেরির মতো ফল হয় না। এতে করে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও রয়েছে। খিদে পেলে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার বদলে যদি স্বাস্থ্যকর কিছু বেছেই নিতে চান, তা হলে অবশ্যই ব্লুবেরি রাখুন আপনার হাতের কাছে। এতে করে মস্তিষ্ক সচল রাখা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। এর স্বাদও দারুণ।
কুমড়ার বীজ
কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন। চিন্তাভাবনা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্যই এই পুষ্টিগুণ অত্যন্ত জরুরি একটি জিনিস। খুব বেশি মানসিক চাপ থাকলেও কুমড়ার বীজ নিয়মিত খেলে চাপমুক্ত হওয়া যাবে। স্যালাড, ওটস্ কিংবা তরকারিতে যেমন দিতে পারেন এটি, আবার শুকনো খোলায় ভেজে খানিকটা লবণ মাখিয়ে মুখে খাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন এগুলো।
ডার্ক চকোলেট খান
আপনি মানসিক চাপ কমাতে, অবসাদ দূর করতে ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এই ডার্ক চকোলেট। নিয়মিত এক টুকরো করে খাঁটি ডার্ক চকোলেট যদি আপনি রাতে খেতে পারেন, তাহলে বেশ উপকার পাবেন। এই জাতীয় চকোলেট বার্ধক্য আটকাতেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।