দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সব জিনিসেই ভেজাল মেশান কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কাজ। সাম্প্রতিক সময় বাজার থেকে আদা কিনতে গেলে খেয়াল করে দেখবেন যে, আদার সেই গন্ধটাই যেনো নেই। আদার বদলে বাজার থেকে কী কিনে আনছেন তা কী আপনি জানেন?
যে প্রদেশেরই রান্না হোক না কেনো, রান্না ঘরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মশলা আদা। কেবলমাত্র মশলা হিসেবেই নয়, ভেষজ হিসেবেও আদার অনেক গুণ বিদ্যমান। ঋতু পরিবর্তনের সময় গলা খুসখুসে কাশি হলেও চটজলদি ঘরোয়া টোটকা হিসেবে মুখে রাখা যায় এই আদাকুচি। করোনা অতিমারির পর থেকে আদা চা খাওয়া তো এক রকম নিয়মে পরিণত হয়েছে। কারণ হলো, আদা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
বাজারে গিয়ে আদা চিনবেন কীভাবে?
পরিষ্কার, স্বচ্ছ ত্বক
সব্জিই হোক বা ফলই হোক, অনেকেই তার রং বা কতোটা চকচকে তা দেখে আকৃষ্ট হন। বাজারে গিয়ে আদা কেনার সময় খেয়াল রাখবেন, আদার উপরিভাগ খুবই স্বচ্ছ, মসৃণ কি না। অনেকেই জানেন না যে, আদার গা মসৃণ করার জন্য এক ধরনের অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
খোসা ছাড়িয়ে দেখুন
আদার খোসা খুব পাতলা হয়। তাই নখ দিয়ে খুঁটলে খুব সহজেই উঠে আসে। যদি কখনও খোসা উঠতে না চায়, বুঝতে হবে সেটি আদা নাও হতে পারে।
গন্ধই আপনাকে চিনিয়ে দেবে এটি আদা
আদার তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ রয়েছে, কোনোভাবেই তা ঢাকা দেওয়া যায় না। আদার গন্ধই আপনাকে চিনিয়ে দেবে যে, সেটি আদৌ ভালো কি না। আদায় যদি গন্ধ না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে যে, সেটি হয়তো ওই গাছের শিকড়। পাহাড়ি ওই গাছের শিকড়ে কোনও গন্ধই থাকে না।
আঁশযুক্ত আদা
যদি সম্ভব হয় আদা ভেঙে দেখতে পারেন, আদার ভিতরের অংশ আঁশযুক্ত রয়েছে কি না। এই আঁশ গাছের শিকড়ে কখনও থাকে না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।