দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিরতিহীনভাবে ৯ মাস ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ইতিমধ্যেই অধিকৃত খেরসন হতে পিছু হটেছে রুশ সেনারা। তবে যুদ্ধের কারণে এই শীতে হুমকিতে ইউক্রেনবাসীর জীবন।
ইউক্রেনের জন্য খেরসন পুনরুদ্ধার একটি বড় অর্জন হলেও আসন্ন শীত দেশটির জন্য মহাবিপদের কারণও হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, এবারের শীতে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির তীব্র সংকটে হুমকির মুখে পড়তে পারে ইউক্রেনীয় লাখ লাখ নাগরিকের জীবন। সংস্থাটি আরও বলেছে, নিরাপত্তা এবং উষ্ণতার খোঁজে আসন্ন শীতে অন্তত ৩০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্য কোথাও চলেও যেতে পারেন।
সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক ড. হ্যান্স হেনরি পি ক্লুজ বলেন, রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিংবা ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমানে দেশটির অন্তত ১ কোটি মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় বসবাস করছেন। এই শীতে এইসব অসহায় মানুষের একমাত্র লক্ষ্য হবে যেভাবেই হোক না কেনো বেঁচে থাকা।’
শুধু তাই নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ইউক্রেনের স্বাস্থ্য কিংবা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্তত ৭০৩টি হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ধারণা করা হচ্ছে যে, আসন্ন শীতে ইউক্রেনের কিছু কিছু এলাকার তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমেও যেতে পারে। এমন অবস্থায় দেশটির বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চরম বিপাকে পড়তে পারেন ইউক্রেনীয়রা।
ড. হ্যান্স হেনরি পি ক্লুজ বলেছেন, গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং মূল শহরগুলোর জ্বালানি, স্বাস্থ্য এবং বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় রাশিয়া। যে কারণে ইউক্রেনের স্বাস্থ্যব্যবস্থা এখন সবচেয়ে বাজে সময়ের মধ্যদিয়ে চলেছে। মৌলিক চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় জ্বালানি, পানি এবং বিদ্যুতের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। ডা. ক্লুজ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের অধিকাংশ হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডগুলোতে ইনকিউবেটরের প্রয়োজন। ব্লাড ব্যাংকের জন্য রেফ্রিজারেটর এবং নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ভেন্টিলেটরও প্রয়োজন। এগুলো চালু রাখতে দরকার নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি কিংবা বিদ্যুৎ সরবরাহ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।