দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ডের সাজা পান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা অ্যালান ইউজিন মিলার। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিষাক্ত ইনজেকশনেও বেঁচে গেলো!
মৃত্যুদণ্ডের সাজা পান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা অ্যালান ইউজিন মিলার। তবে আদালতের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর করতে গিয়ে ধাক্কা লাগে কারা কর্তৃপক্ষের। কেনোনা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অপরাধীর শরীরে প্রয়োগ করা বিষাক্ত ইনজেকশনও কাজ করেনি!
তবে অ্যালানকে মৃত্যুদণ্ড দিতে যে উপায় বের করা হয়, সেই পদ্ধতি এর আগে কখনও কোনো মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্তের ওপর প্রয়োগ করা হয়নি।
৩টি খুনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সম্প্রতি অ্যালানকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। পরে সেখানকার কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, অ্যালানকে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। তবে সেই বিষ অ্যালানের শরীরে প্রবেশ করালেও তার মৃত্যু হয়নি। এমনিতেই অ্যালানের স্থুল শরীরে শিরা খুঁজে বের করতে বেশ নাকাল হতে হয় জেল কর্মকর্তাদের। অনেক কষ্টে শিরা খুঁজে ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে বিষ প্রবেশ করিয়ে কর্মকর্তারা অ্যালানের মৃত্যুর অপেক্ষা থাকেন। তবে সেই বিষ তার শরীরে প্রবেশ করার পর যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করেন অ্যালান। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে বিষ প্রয়োগ করার সময় শরীরে আরও দু’টি সুচ প্রবেশ করানো হয়। যারমধ্যে একটিতে শরীর অবশ করার ওষুধ থাকে ও অপরটিতে সংজ্ঞাহীন করার ওষুধও থাকে।
সাধারণভাবে যন্ত্রণাহীন মৃত্যু নিশ্চিত করতে এই দু’টি ইনজেকশন অপরাধীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। অ্যালানের শরীরেও প্রয়োগ করা হয় এই দুটি ওষুধ। তবে তার শরীরে ওষুধ দু’টি কাজ না করায় বিষের প্রভাবে তার শরীরে প্রচণ্ড জ্বালা শুরু হয়ে যায়। অ্যালান তখন যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে অ্যালানের শরীর থেকে ওই ইনজেকশনের সুচগুলো খুলে নেন উপস্থিত কর্মকর্তারা।
অ্যালানের আইনজীবীর অভিযোগ যে, ইনজেকশন প্রয়োগের কারণে অ্যালান প্রচণ্ড মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা অনুভব করেন। তাই কোনোভাবেই আর ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া সম্ভব না। অনেক দেশেই ইতিমধ্যেই বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পরে সম্প্রতি আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, অ্যালানকে আর বিষ প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে না। তারপরই বিষাক্ত ইনজেকশনের পরিবর্তে নতুন উপায়ে অ্যালানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জেল কর্মকর্তারা। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, অ্যালানকে মৃত্যুর সাজা দেওয়ার জন্য বিষাক্ত নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়া গ্যাস প্রয়োগ করা হবে।
এই বিষয়ে অ্যালাবামার বাসিন্দাদের দাবি হলো, বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার থেকে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া অনেকটাই মানবিক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।