দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেশকিছু নতুন ও চমকপ্রদ প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা যাচ্ছে এবারের ফিফা বিশ্বকাপে। মুহূর্তেই যেগুলো মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে খেলার ফলাফলের ক্ষেত্রে।
এইসব প্রযুক্তির মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে ভিএআর কিংবা ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির নাম। যার বদৌলতে বেশ কয়েকটি গোল পড়েছে অফসাইডের মধ্যে। তাছাড়াও প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে দেখা যাচ্ছে লাইভ বল-ট্র্যাকিং প্রযুক্তিরও ব্যবহার। বিশেষ ট্র্যাকিং প্রযুক্তির নিয়েই আজকের এই আলোচনা।
লাইভ বল-ট্র্যাকিংটি কিভাবে কাজ করে
জার্মানির এআই সমাধান প্রদানকারী কিনেক্সনের ডিজাইন করা এই বছরের ফিফা বিশ্বকাপে ব্যবহৃত বলগুলোর ভেতরেও রয়েছে একটি করে লাইটওয়েট সেন্সর। ইন্টারশিয়াল মেজারমেন্ট ইউনিট (আইএমইউ) দ্বারা তৈরি এই সেন্সরগুলো আল্ট্রা-ওয়াইডব্যান্ড (ইউডব্লিউবি) রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে রিয়েল-টাইম স্থানিক অবস্থান ও স্থান পরিবর্তন সম্পর্কে তথ্যও দিতে পারে। কিনেক্সনের নিজস্ব লোকাল পজিশনিং সিস্টেম (এলপিএস) বলের গতি ট্র্যাক করার কাজটিও সম্ভব করেছে। এটি ম্যাচগুলোর পিচের ঠিক চারপাশে ইনস্টল করা হয়েছে। যার মাধ্যমে রেফারি এবং কর্মকর্তারা দেখতে পান কোথায় বল যাচ্ছে, খেলোয়াড়রা কোথায় অবস্থান করছেন, এক স্থান থেকে কোথায় তারা গতিপথ পরিবর্তন করছে, মাঠের চারপাশে আসলে কি ঘটছে এইসব বিষয়ে সর্বদা অবগত থাকতে পারেন।
কিনেক্সনের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, বলের ভেতরে থাকা সেন্সরটি ২ ও ত্রিমাত্রিক উভয় গতিবিধি শনাক্ত করতে সক্ষম, রিয়েল টাইমে আউটপুট দিতে পারে ও ২০ মাইক্রোসেকেন্ডের কম সময়েই সেন্টিমিটার পরিমাণ সঠিক গণনা প্রদান করতে পারে এটি।
বল-ট্র্যাকিং সাহায্য করে যেভাবে
কিনেক্সনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, লাইভ বল ট্র্যাকিংয়ের স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির সাহায্যে নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সকেও সঠিকভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়াও গোল, পেনাল্টি ও অফসাইডের মতো জটিল পরিস্থিতিগুলো বিশ্লেষকরা আপ-টু-ডেট, রিয়েল-টাইম তথ্য ব্যবহার করে প্রতিটি খেলোয়াড় কিভাবে পারফর্ম করছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে। সেন্সর থেকে পাওয়া তথ্য এককথায় একটি ডেটা প্যাকেজ হিসেবেও কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে বলের আবৃত দূরত্ব, বলের ত্বরণ ও গতি, আক্রমণ এবং রক্ষণের সময় খেলোয়াড়রা কতোদূর দৌড়াচ্ছে, কোনো নির্দিষ্ট সময় ড্রিবলিং গতি কতো ছিল, গোলের সময় বল শট করা গতি, দলের পাসিং -এর নির্ভুলতা সম্পর্কিতও নানা তথ্য। কিনেক্সনের ট্র্যাকিং সেন্সরগুলো সরাসরি ম্যাচ চলাকালীন ভালো উপস্থাপনার জন্য রিয়েল-টাইম তথ্য দৃশ্যায়ন করতে সাহায্য করছে বলে প্রকাশিত এক সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।