দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় বিছানা ছেড়ে উঠে মাটিতে পা ফেলতেই পায়ে ব্যাথা লাগে। পায়ের পাতার ব্যথা সারাতে কিছু নিয়ম মেনে চললে উপকার পাবেন। কী সেই নিয়ম?
দিনের বেশিরভাগ সময় দৌড়ঝাঁপেই থাকতে হয়। অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একভাবে চেয়ারে বসে কাজ করা। হাঁটাহাঁটি একেবারেই হয় না। এতে করে সব কিছুর প্রভাব পরে পায়ের পাতার উপর। সারাদিন পরিশ্রমের পর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় জানান দেয়। পায়ের পাতায় যন্ত্রণায় অল্পবিস্তর সকলেই ভুগে থাকেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেও রেশ থাকে সেই ব্যাথার। বিছানা ছেড়ে উঠে মাটিতে পা ফেলতেই পায়ের ব্যাথা অনুভব হয়। পায়ের পাতায় ব্যাথা মূলত স্নায়ুর কারণেই হয়। প্রতিদিন বাড়ি ফিরেই কিছু জিনিস মেনে চলতে পারলে আরাম পাবেন।
গরম পানির সেঁক
একটা গামলায় কিছু পরিমাণ গরম পানি নিয়ে নিন। একটু বেশি করে লবণ মেশান ওই পানিতে। পাশে অন্য একটা ছোট গামলায় ফুটন্ত গরম পানি রাখুন। এখন ওই লবণ মেশানো পানির গামলায় দু’পায়ের পাতা ডুবিয়ে রাখুন। আস্তে আস্তে আঙুল ভিতরের দিকে মুড়তে হবে, বাইরের দিকে খুলুন। পানি যখন একটু ঠাণ্ডা হয়ে আসবে, তখন পাশে রাখা গরম পানি থেকে অল্প অল্প করে মেশাতে থাকুন। অন্তত আধা ঘণ্টা এভাবে করুন।
মালিশ ব্যবহার
অলিভ অয়েল কিংবা ফুট ক্রিম বেশি করে হাতে নিয়ে নিতে হবে। পায়ের তলায় মাঝ বরাবর আঙুলের চাপে মাসাজ করতে করতে গোড়ালি থেকে উপরের আঙুলের দিকে উঠতে থাকুন। পায়ের তলার নার্ভের উপর আলতো চাপ দিয়ে মাসাজ করুন। যতোক্ষণ আরাম লাগবে, ততোক্ষণ এভাবে করতে থাকুন।
ফুট রোলার ব্যবহার
ফুট রোলার যে কোনও দোকানেই কিনতে পাওয়া যায়। মাটিতে রোলার রেখে তার উপর পা দিয়ে চেয়ারে বসতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে পা ঘোরাতে থাকুন। ব্যাপারটা অনেকটা রুটি বেলার মতোই হবে। কয়েক দিন এমনটি করতে থাকুন। বেশ উপকার পাবেন। তবে রোলার কেনার আগে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
বরফ ব্যবহার
ব্যথায় পা অনেক সময় খুব ফুলেও যেতে পারে। এমন হলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কিছুই নেই। একটি গামলায় বেশ খানিকটা বরফ নিয়ে তারপর বরফের উপর হালকা করে পা রেখে কিছুক্ষণ বসে থাকুন। এতেও স্বস্তি পাবেন। তবে শীতকালে এই টোটকা মেনে চললে ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই খুব বেশি পরিমাণ বরফ না নেওয়ায় ভালো। একটি সুতির কাপড়ে বরফ বেঁধে তারপর পায়ে ধীরে ধীরে বোলাতে পারেন। এতেও বেশ উপকার পাবেন। এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।