দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই নিজে নিজেই শরীর চর্চা করলে যোগও ডেকে আনতে পারে নানা বিপদ। এমনকি, শবাসনও হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য ক্ষতিকর। তাই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি হিসাবে যোগচর্চার জুড়ি নেই সেটি বলা যায়। শরীর এবং মন ভালো রাখতে অনেকেই নিয়ম করে যোগচর্চা করে থাকেন। তবে কোনও বিষয়ের প্রচলন বাড়লে তার সঙ্গে সঙ্গে সেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তৈরি হতে পারে এবং বিভিন্ন ভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। অনেকেই অতি উৎসাহে ইন্টারনেট ঘেঁটে নিজে থেকেই বিভিন্ন আসন করার চেষ্টা করে থাকেন। তবে কারও কারও কাছে অনুপ্রেরণার উৎস সমাজমাধ্যম। এইভাবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে চর্চা করলে যোগেও ডেকে আনতে পারে বিপদ। আবার এই শবাসনও হয়ে উঠতে পারে ক্ষতিকর। তাই নিয়মিত যোগ চর্চা করলে মাথায় রাখতে হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ভঙ্গিমা: যোগাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো সঠিক ভঙ্গিমা। যথাযথ অঙ্গবিন্যাসে যেমন ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে, ঠিক তেমনি অঙ্গবিন্যাসের ভুলই ডেকে আনতে পারে এক বিপদ। তা ছাড়াও সব আসন সবার জন্যই নয়। যাদের পিঠের সমস্যা রয়েছে তাদের প্রাণায়াম কিংবা আসন করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সামনে কিংবা পিছনের দিকে ঝুঁকে সেটি করতে হয়, এই রকম একাধিক আসনে অসতর্ক হলেই বেড়ে যেতে পারে পিঠ এবং কোমরের ব্যথা। পিঠ কিংবা কোমরের সমস্যা থাকলে আসন করার সময় অবশ্যই নিতে হবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
ক্লান্তি: প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত আসন করলে পেশি ক্লান্তও হয়ে যেতে পারে। আসন করার সময় উপেক্ষা করা যাবে না ক্লান্তিকে। পরিশ্রান্ত শরীরে যোগ চর্চায় লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ারও আশঙ্কা অনেক বেশি। বিশেষ করে যারা নতুন শুরু করেছেন, তারা এক দিনে অতিরিক্ত আসন না করে অল্প অল্প করে শুরু করতে হবে। সময় নিন এবং শরীরকেও মানিয়ে নেওয়ার সময় দিন।
বিশ্রাম: আসন করার আগে শরীরকে তৈরি করা এবং যোগচর্চার পর বিশ্রাম করে উপকার পেতে হলে এই দু’টি জিনিস সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভুল হলেই লাগতে পারে চোট। কাজেই যোগচর্চার পূর্বে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলে নিতে হবে একজন প্রশিক্ষকের সঙ্গে। মাথায় রাখা দরকার যে, প্রত্যেকের শরীর পৃথক পৃথক শরীরের সহনক্ষমতা থাকে। তাই যোগচর্চাকেও হতে হবে ব্যক্তিনির্দিষ্ট। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।