মাত্র মিনিটেই জব্দ হতে পারে পেটের মেদ! কীভাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভুঁড়ি কমাতে গেলে ভারি শরীরচর্চা করতে হবে, এটি কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। খাওয়া-দাওয়ায় লাগাম টানা এবং মিনিট পনেরো প্ল্যাঙ্কেই জব্দ হতে পারে পেটের মেদ।

কর্মব্যস্ত জীবনে সারাদিনের দৌড়ঝাঁপের ঠেলায় খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, ডায়েটের তোয়াক্কা না করা ও শরীরচর্চার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার কারণে পেটের আনাচ-কানাচে জমতে থাকে মেদ! সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে ভুঁড়ি। অথচ হাতে মাত্র এক-দু’মিনিট সময় থাকলে সেই ক্ষতি পূরণ করতে পারবেন খুব সহজেই।

ভুঁড়ি কমাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নানা রকম শরীরচর্চায় ডুবে থাকতে হবে এমন কিন্তু নয়। খাওয়া-দাওয়ায় লাগাম টানা এবং মিনিট পনেরো প্ল্যাঙ্কেই জব্দ হতে পারে পেটের মেদ। পেট এবং কোমরের কোর মাসলকে শক্তিশালী করে তুলতে প্ল্যাঙ্ক ভিষণ উপকারী। বরং অফিস থেকে ফিরে প্ল্যাঙ্কের জন্য রাখুন মাত্র মিনিটখানেক সময়। এতে কী কী উপকার পাবেন তা জানেন?

ভুঁড়ি কমানোর জন্য প্ল্যাঙ্ক হলো অব্যর্থ। যারমধ্যে সবচেয়ে কার্যকর সাইড প্ল্যাঙ্ক। এটি নিয়মিত অভ্যাসের কারণে পেট এবং কোমরের কোর পেশির শক্তিও বাড়়ে। পেশি টানটান হয়ে যায় এবং সেই সঙ্গে মেদ জমে থাকার অবকাশও পায় না। এই জাতীয় প্ল্যাঙ্ক আসলে মেরুদণ্ডের ভিতরের পেশিগুলোরও জোর বাড়ায় এবং শক্তপোক্ত করে মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে।

তবে প্রথমেই কী আপনি এক-দু’মিনিট ধরে রাখতে পারবেন প্ল্যাঙ্ক? অনভ্যস্ত শরীর হলে সেই চেষ্টা কিন্তু ভুলেও নয়। বরং ১০ সেকেন্ড, ২০ সেকেন্ড করে ঘড়ি ধরে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিন আপনার প্ল্যাঙ্ক সময়সীমা।

প্ল্যাঙ্ক করার সময় কোন ভুলগুলো অনেকেই করেন?

# ব্যায়াম করতে করতে ঠিক সময় শ্বাস না ছাড়লে প্ল্যাঙ্ক করার উপকার পাবেন না।

# প্ল্যাঙ্ক করতে করতে ঘাড় নিচু করে তাকিয়ে থাকা উচিত নয়। আবার মাথা উপরে তুললেও হবে না। দৃষ্টি রাখতে হবে একেবারেই সোজাসুজি। তা না হলে ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হবে।

# প্ল্যাঙ্ক করতে করতে হাঁটু এবং পিঠ কখনও বেঁকিয়ে ফেলবেন না। এতেও ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

# প্ল্যাঙ্ক করলে আপনার শরীরের ব্যথা কমে যাবে? এই নিয়ে কিছুটা ভুল ধারণাও রয়েছে। তবে এতে আদতে কোনও উপকারই হয় না। ব্যথা কমলে তাহলেই প্ল্যাঙ্ক করা উচিত। না হলে পেশিতে টান লাগার আশঙ্কাও বেড়ে যেতে পারে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।