দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোন ফলে লুকিয়ে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে ডায়াবেটিসের সমস্যার সমাধান? আজ আলোচনা করা হবে সেই বহু গুণের একটি ফল সম্পর্কে।
জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রণ, ফাইবার- এমন অসংখ্য স্বাস্থ্যকর উপাদানের সমৃদ্ধ উৎসই হলো ডুমুর।
যে ফলগুলো যত্ন নেয় শরীরের, যারমধ্যে অন্যতম হলো ডুমুর। শুনে অনেকেই বিস্মিতও হতে পারেন। কারণ ডুমুরের যে গুণ থাকতে পারে, তা অনেকেই বিশ্বাসই করতে চান না। এমনিতেই সারা বছর ডুমুরের দেখা পাওয়া যায় না। তার উপর যেটুকু সময় বাজারে পাওয়া যায়, রংবেরঙের মৌসুমি সব্জি ছেড়ে কেও ডুমুরের দিকে সেভাবে ফিরেও তাকান না। ডুমুরের প্রতি এই অবহেলা মোটেও ঠিক নয়। আখেরে ক্ষতি কিন্তু হচ্ছে আপনারই।
ডুমুরের পুষ্টিগুণের কথা জানলে আপনিও অবাক হবেন। জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রণ, ফাইবার- এমন অসংখ্য স্বাস্থ্যকর উপাদানের সমৃদ্ধ উৎসই হলো ডুমুর। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর ডুমুর শরীরের যত্ন নেয় একেবারে ভিতর থেকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। ডুমুর ভেজানো পানি আরও বেশি উপকারী। এই ডুমুরের রয়েছে আরও কিছু অজানা স্বাস্থ্যগুণ।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে ডুমুর
ডায়াবেটিসের সমস্যা সমাধানেও নিশ্চিন্তে ভরসা রাখতে পারেন ডুমুরের উপর। এতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়াও ডুমুরে উপস্থিত ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড রক্তে শর্করার মাত্রা বিপদসীমার বাইরে রাখতে সাহায্য করে থাকে। টাইপ টু ডায়াবেটিসে যারা ভুগছেন, এই ফল ভিজিয়ে খেলে বাড়তি উপকার পেতে পারেন। ডায়াবেটিক রোগীদের অনেক কিছুই খাওয়া বারণ থাকে। প্রতিদিন পাতে না হলেও মাঝে-মধ্যে নিশ্চিন্তে স্বাদ নিতে পারেন ডুমুরের।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ডুমুর
পানি কম খাওয়া, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতার মতো কিছু কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। অনেক চেষ্টা করেও এই সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি না পেলে সুস্থ থাকতে ভরসা রাখতে পারেন এই ডুমুরের উপর। ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিমেষে দূর করবে। পেট ভালো রাখতেও ডুমুর খুবই উপকারী।
মেদ ঝরাতে ডুমুর
ওজনও কমাতেও সাহায্য করতে পারে ডুমুর। এই গুণটির কথা অনেকেই জানতেনই না। তবে মেদ ঝরাতে দারুণ উপকারী এই ডুমুর।
হাড়ের যত্নে খান ডুমুর
শীতকালে হাড় মজবুত রাখতে চাইলেই আপনি খেতে পারেন ডুমুর। ক্যালশিয়ামের সমৃদ্ধখাবারের উৎসই হলো এই ডুমুর। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।