দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বামী মাছ ধরতে পছন্দ করেন তাই তার বেশিরভাগ সময় কাটে মাছ ধরেই। বিষয়টি নিয়ে সংসারে শুরু হয়ে যায় তোলপাড়। পরিবারকে সময় না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত স্ত্রী। তাই তার সঙ্গে সংসার করতে নারাজ। আদালতে ডিভোর্স মামলা দায়ের করেনছেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, আইনি প্রক্রিয়া শুরু হলে তিনি সেখানেও ছিলেন না। কারণ হলো এই সময় তিনি মাছ ধরতেই ব্যস্ত ছিলেন! এমন আজব একটি ঘটনা ঘটেছে পূর্ব চীনের শানডং প্রদেশে। ওই লোকটির ডাক নাম সান ও তার স্ত্রীর নাম ঝাং। তাদের পারিবারিক জীবন ১০ বছরের মতো।
আদালতে করা ডিভোর্স আবেদনে ঝাং জানিয়েছেন যে, ১০ বছরের বিবাহিত জীবনে সান তাকে খুব কম সময়ই দিয়েছেন। তার স্বামী সন্তানদেরও কোনো সময় দেন না। সানের একমাত্র ধ্যানই হলো মাছ ধরা।
তার স্বামী বেশিরভাগ সময়ই মাছ ধরায় ব্যয় করেন। পরিবার, স্ত্রী এবং সন্তানের প্রতি তিনি একেবারেই উদাসীন। এইসব অভিযোগ তুলে সানের সঙ্গে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন স্ত্রী ঝাং।
গত ১৯ ডিসেম্বর আদালতে সান এবং ঝাংয়ের বিবাহ বিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হলে ঝাং একাই আদালতে হাজির হন। অথচ তার স্বামী সান উপস্থিত ছিলেন না সেখানে। জানা যায়, তিনি মাছ ধরায় এতোটাই ব্যস্ত ছিলেন যে, শুনানির কথা পর্যন্ত ভুলে গেছেন। পরে আদালতের পক্ষ থেকে তাকে তলব করার পর তিনি আদালতে হাজির হন।
ঝাং জানিয়েছেন, তার স্বামী মাছ ধরতে যেতো কিন্তু ঝাং সংসার সামলানোর কাজেই ব্যস্ত থাকতো। তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে পুরো পরিবারের জন্যই নাস্তা তৈরি করেন, তার দুই সন্তানকে তৈরি করে স্কুলে পাঠাতেন ও তারপর কাজে যেতেন। এমনকি যদি সান বাড়িতে থাকেও, সে সারাক্ষণ সোফায় শুয়ে থাকে ও তার ফোনেই গেম খেলে।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সান তার স্ত্রীর অভিযোগে বিরক্ত হয়ে তিনিও ডিভোর্স দিতে রাজি হন। বিচারকও সানের আচরণে বিস্মিত হয়েছেন। বিচারক মনে করেন, মাছ ধরা কোনো খারাপ কাজ নয়। তবে এর একটা সীমা থাকা উচিত। মধ্যস্থতার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর, আদালত অবশেষে ঝাং এর ডিভোর্স আবেদন মঞ্জুর করেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।