দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রক্তাল্পতার ঘাটতি থেকে মুক্তি পেতে ও শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে শুধুই ওষুধ খেলেই হবে না, আয়ুর্বেদেই রয়েছে এই সমস্যার সমাধান। এই জন্য ভরসা রাখুন শাকসব্জিতে।
বিশেষ করে মহিলাদের রক্তাল্পতার সমস্যা বা আয়রণের অভাব নতুন নয়। শরীরে আয়রণের ঘাটতি থাকলে লোহিত কণিকার উৎপাদন ক্ষমতা তখন কমে যায়। আয়রণের অভাবে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রণ না থাকলে সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহও ব্যাহত হতে পারে। শুধু তাই নয়, যারা সন্তানধারণ করেছেন কিংবা যাদের ঋতুস্রাবের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে, তাদের জন্য আয়রণের ঘাটতি কিছু ক্ষেত্রে প্রাণসংশয়ের কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সে কারণে সাধারণ খাবারের সঙ্গে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রণ শরীরে না পৌঁছালে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হয়। তবে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, শারীরিক অবস্থার খুব যদি অবনতি না ঘটে, সে ক্ষেত্রে আয়রণের ঘাটতি মেটাতে প্রাথমিকভাবে খাবারের উপর ভরসা করা যেতেই পারে।
রক্তাল্পতা নিয়ন্ত্রণ করতে কী কী খাবার খাওয়ার খেতে হবে
গাজর-বিট
প্রতিদিনই খাবার পাতে স্যালাড হিসাবে বিট-গাজর রাখা যেতে পারে। তা না হলে এই দু’টি সব্জিকে একসঙ্গে ব্লেন্ডারে মিশিয়ে ছেঁকে নিয়ে শুধু রস খেতে পারেন। সেইসঙ্গ রসে মিশিয়ে নিতে পারেন লেবুর রস। শরীরে আয়রণ শোষণ করতে ভিটামিন সি’র যথেষ্ট ভূমিকাও রয়েছে।
সজনে পাতা
অনেকেই সজনে ডাঁটা খেতে ভালোবাসেন। সজনে গাছের পাতার যে এতো গুণ রয়েছে, তা কী আপনি জানতেন? ভিটামিন এ, সি ও ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর এই পাতাটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলেই আয়রণের ঘাটতি পূরণ হয়। তাছাড়াও, তারুণ্য ধরে রাখতে সজনে পাতার জুড়ি নেই।
কিশমিশ-খেজুর
আপনার রক্তে যদি শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে, তাহলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১০-১২টি কিসমিস ও কয়েকটি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। রক্তে আয়রণের ঘাটতি মেটাতে পারে ভিটামিন এ, সি, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, আয়রণে সমৃদ্ধ কিশমিশ ও খেজুরের যুগলবন্দি।
সাদা ও কালো তিল
রান্নায় অনেকেই তিল ব্যবহার করে থাকেন। আয়রণ, জ়িঙ্ক, কপার, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন বি৬, ফোলেট এবং ই সমৃদ্ধ তিল আয়রণের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে বিশেষভাবে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
গম গাছের পাতা
বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন কে, আয়রণ, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালশিয়াম, ফাইবার সমৃদ্ধ এই পাতা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। যাদের রক্ত পাতলা কিংবা কেটে গেলে তখন রক্তপাত বন্ধ হতেই চায় না, তাদের জন্য এই পাতার রস খুব উপকারী। সকালে খালি পেটে গম গাছের পাতার রস রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে ও প্রতিরোধ শক্তিও উন্নত করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।