দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রচণ্ড গরমে ফাঁদ পাতছে নানা ধরনের জীবা। তবে শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে কয়েকটি সবজি খেতে পারেন।
ব্রকোলি সব বাড়িতে দেখা যায় না। তবে এই সবজির রয়েছে অনেক গুণ। এতে রয়েছে ভিটামিন এবং খনিজের ভাণ্ডার। তাই এই সবজি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
তাপমাত্রার পারদ যেভাবে বাড়ছে যা দেখে ঘাবড়ে যেতে হয়। এপ্রিলের শুরুতেই যদি এমন গলদঘর্ম অবস্থা হয়ে থাকে, তাহলে আগামীদিনে কী অপেক্ষা করছে তা কে জানে!
এই গরমাগরম আবহাওয়ায় ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। তাই ইমিউনিটি বাড়িয়ে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছেন তারা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী হলো এই ব্রকোলি।
ব্রকোলি খেলে বাড়বে ইমিউনিটি
ব্রকোলিতে রয়েছে ভিটামিন সি-এর অফুরন্ত ভাণ্ডার। এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে থাকে। তাই ব্রকোলি খেলে যে ইমিউনিটি বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়াও এই সবজিতে রয়েছে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীর হতে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। যে কারণে শরীরও সুস্থ থাকে। ভয়াল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কয়েকগুণ কমে যায়। তাই এই সবজিটি এখন থেকেই পাতে রাখার চেষ্টা করুন।
ঠাণ্ডা লাগার সমস্যাও মেটায়
গরমের ঠেলায় প্রায় সকলেই জ্বলুনির শিকার হচ্ছেন। তবে এই সময়েও অনেকেই ঠাণ্ডা লাগিয়ে ফেলছেন। জ্বর, সর্দি, কাশি যেনো পিছুই ছাড়ছে না। এই সমস্যাতেও অত্যন্ত কার্যকরী হলো এই ব্রকোলি। এই সবজিতে অ্যান্টিহিস্টামেনিক গুণও রয়েছে। অর্থাৎ অ্যালার্জিজনিত সমস্যা লাঘব করতে পারে এই সবজিটি। সে কারণে ঠাণ্ডা লাগার সমস্যাও কমে যায়। তাই কমন কোল্ডের শিকার হলে ওষুধের পাশাপাশি এই সবজিটিও পাতে রাখতে পারেন।
বিটা ক্যারোটিনের ভাণ্ডার
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলেও আপনাকে ব্রকোলি খেতে হবে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। এই বিটা ক্যারোটিন শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।
উপকারী খনিজের ভাণ্ডার
ব্রকোলি খেলে আপনাকে জিঙ্ক ট্যাবলেট খেতে হবে না। বরং এই সবজিটিই এই খনিজের ঘাটতি পূরণ করে দেবে। এছাড়া এই সবজিটিতে আরও রয়েছে সেলেনিয়াম এবং ক্যালশিয়াম।
তবে ব্রকোলি রান্নার সময় সচেতন হতে হবে। খুব বেশি তেল দিয়ে এই সবজিটি রাধবেন না। এতে সবজির সম্পূর্ণ গুণাগুণ পাওয়া যাবে না। বরং চেষ্টা করুন একটু ভাঁপে ভাঁপে রান্না করার জন্য। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।