দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুশ্চিন্তা করলেই মুখে তার ছাপ পড়বে- সেটিই স্বাভাবিক। তাই মোটেও দুশ্চিন্তা নয়! এখন থেকে যাবতীয় দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে মন খুলে হাসুন এবং সেইসঙ্গে করুন যোগাসন।
বয়স বেড়ে যাচ্ছে বলে আপনি হয়তো দুশ্চিন্তা করছেন? বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকা, অ্যান্টি-এজিং ক্রিম দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলিরেখা রুখে দেওয়ার? তবে কোনও কিছুতেই যেনো কোনোই লাভ হচ্ছে না! দুশ্চিন্তা করলেই অবশ্যম্ভাবীভাবেই তার ছাপ পড়বে আপনার মুখে- আর সেটিই কিন্তু স্বাভাবিক। তাই কোনো দুশ্চিন্তা নয়! এখন যাবতীয় দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে মন খুলে হাসুন এবং সেইসঙ্গে করুন যোগাসন। এতেই লুকিয়ে রয়েছে উজ্জ্বল, ঝকঝকে ত্বকের এক রহস্য।
কর্মব্যস্ত থাকার কারণে যোগাসনের জন্য সময় বের করতে পারেন না অনেকেই। তবে একটু সময় বের করে যোগাসন করলে অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসতে পারে অনায়াসে। যৌবন ধরে রাখতে চাইলে হাসতে হাসতেই করতে হবে যোগাসন! কেবল মুখের ঔজ্জ্বল্য এবং সৌন্দর্য ধরে রাখাই নয়, শরীরে নানা রোগব্যাধিও দূর করবে এই প্রকার যোগাসনের মাধ্যমে।
# হাসির ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। হৃদ্স্পন্দনের হার নিয়ন্ত্রণে থাকে। হাসতে হাসতে যোগাসন করলে শরীরে ভাল মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে। শ্বাসকষ্ট থাকলে এই যোগাসন ভীষণ উপকারী। তাছাড়া হৃদযন্ত্রও সুস্থ থাকে।
# মস্তিষ্কে চাপ যতোটা কম দেবেন, আপনার কর্মক্ষমতাও ততোই বাড়বে। হাসলে শরীর হতে এন্ডোর্ফিন হরমোনের ক্ষরণও বাড়ে, যা ব্যক্তিকে আনন্দে রাখে এবং চাপমুক্ত রাখে। যে কারণে মন ও মেজাজও বেশ ফুরফুরে হয়।
# শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপরও হাসি ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। হাসলে শরীর বিশ্রাম ও স্বস্তি পায়, যে কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বাড়ে। হাসতে হাসতে যোগাভ্যাস করলে আপনিও সর্দিকাশিকে খুব সহজেই দূরে রাখতে পারবেন।
# হজম ভালো না হলে শরীরে বড়ই অস্বস্তি হয়। সেই সময় মুঠো মুঠো ওষুধ না খেয়ে ‘লাফটার যোগ’-এর উপরেও ভরসা রাখতে পারেন। এই উপায় মেনে চললে পেঠব্যথা, গ্যাস, এমনকি ডায়রিয়ার প্রতিকারও করা সম্ভব হবে।
# মানুষ যখন হাসে তখন হাসার সময় শরীর থেকে সেরোটোনিন এবং এন্ডোর্ফিন নিঃসৃত হয়। এন্ডোর্ফিন একটি প্রাকৃতিক বেদনানাশক হিসেবেও কাজ করে থাকে। আবার সেরোটোনিন মানসিক অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।
# দীর্ঘদিন ধরে অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন? ‘লাফটার যোগ’-এর মাধ্যমে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন ইচ্ছে করলে।
# যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা এই যোগাসন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
কীভাবে করবেন?
ওয়ার্ম-আপ ব্যায়াম হিসাবে আপনি হাততালি দিয়ে শুরু করুন। তালি বাজাতে বাজাতে হাতগুলো উপরে, নীচে ও চারপাশে ঘোরাতে থাকুন। এখন ডায়াফ্রাম এলাকায় হাত রেখে গভীর শ্বাস নিতে থাকুন। এরপর হাসতে শুরু করুন। ধীরে ধীরে হাসির তীব্রতা আরও বাড়াতে থাকুন। এবার হাত তুলুন ও প্রাণ খুলে হাসুন। এরপর হাত নীচে নিয়ে যান ও হাসি থামান। ৩০ মিনিট মতো এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। এতে উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।