দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যারা অফিস করেন তারা অনেক সময় খাবার সময়ই পান না। এমন অবস্থায় অফিসে কাজের চাপ সামলে টিফিন করবেন কীভাবে? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
খাওয়ার সময় না পেলেও আপনি টিফিনে এমন কিছু খাবার নিয়ে যান, যাতে করে পেটও ভরবে আবার আপনার কাজের গতিও বাড়বে। আজ রয়েছে তেমন কিছু খাবারের সন্ধান।
বা়ড়িতে থাকার সময় নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করা হয়তো সম্ভব হয়, কিন্তু অফিসে থাকলে তা মোটেও হয় না। কাজের চাপ, একের পর এক মিটিং সব মিলিয়ে একেবারে কাজে ডুবে থাকা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না তখন। ঘড়ি ধরে খাওয়া তো দূরের কথা, খাওয়ার সময়ই পাওয়া যায় না অনেক সময়। দীর্ঘদিনের এই অনিয়মে নানা রোগও হানা দিতে পারে শরীরে। তাই স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে সঠিক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া-দাওয়া করাটাই দরকার। তেমনই বলে থাকেন চিকিৎসকরা। আজ রয়েছে তেমন কিছু খাবারের সন্ধান। যেগুলো খেলে পেটও ভরবে আবার আপনার কাজের গতিও বাড়বে।
ডিম
আমরা সবাই জানি পোচ, ডিমসেদ্ধ, অমলেট- ডিম যে কোনওভাবেই হোক তা খাওয়া যায়। এটি বেশি রান্না করার প্রয়োজন পড়ে না। প্রতিদিন একটি করে সেদ্ধ ডিম সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন অফিসে। কাজের ফাকে খাওয়া খুব সমস্যার হবে না, আবার সকালে তৈরি হতে একটি ডিম সেদ্ধ করে নেওয়া ঝক্কির কিছু নয়। এতে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। যে কারণে কাজে গতিও আসবে। শক্তি পাবে শরীর। অনেকক্ষণ পেটও ভরা থাকবে। সেই সঙ্গে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে আসবে।
কাঠবাদাম খান
শরীরের যত্ন নিতে কাঠবাদামের জুড়ি নেই। অফিসে নিজের ড্রয়ারে একটি কৌটাতে ভর্তি করে রেখে দিতে পারেন কাঠবাদাম। আবার ব্যাগেও একটি ছোট্ট কৌটাতে রাখতে পারেন কাঠবাদাম। কাজের ফাঁকে প্রতিদিন ৩-৪টি কাঠবাদাম খেয়ে নিন। পেট ভরে যাবে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও যাবে আপনার শরীরে।
শসা
শসাতে অনেকটাই ফাইবার থাকে। তাই বেশ অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ভাজাভুজি কিনে খাওয়ার প্রবণতাও তখন কমবে। কাজের ফাঁকে কয়েক টুকরো শসা খেয়ে নিলে শরীরে পানির ঘাটতিও মিটবে। আবার এতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থও থাকবে। তাই এটি খেতেই পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।