দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি গুপ্তধনের গল্প। মানুষ স্বপ্নে হলেও একবার গুপ্তধনের কাছে পৌঁছান। ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাড়ি ভাঙার কাজে নিযুক্ত কর্মীরা বাস্তবে এবার গুপ্তধনের সন্ধান পেলেন!
ওই গ্রামটি একটি পুরনো বাড়ি ভাঙার কাজ চলছিল। দেওয়াল ভাঙার কাজ শুরু হতেই ঝনঝন শব্দে বেরিয়ে আসতে শুরু করলো রাশি রাশি রুপোর কয়েন! চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে চমকে যান বাড়ি ভাঙার কাজে নিযুক্ত ওইসব কর্মীরা। ঘটনা জানাজানি হতেই লোক জড়ো হতে শুরু করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ভারতের উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে একটি পুরনো বাড়ি ভাঙার কাজ করছিলো শ্রমিকরা। বিপজ্জনক ঘোষিত বাড়িটি পুরসভার তত্ত্বাবধানেই ভাঙা হচ্ছিল। প্রথমেই বাড়িটির ছাদ ভাঙা হয়। তারপর বুলডোজার দিয়ে বাড়ির দেওয়ালে ভাঙার কাজ শুরু হতেই চমকে যাওয়ার মতো এক ঘটনা ঘটে। দেওয়ালে বুলডোজার দিয়ে জোরে ধাক্কা মারতেই অসংখ্য রুপোর কয়েন বেরিয়ে আসতে থাকে ভেতর থেকে! দেওয়ালের ভেতর থেকে রুপোর কয়েন ঝরে পড়ার দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়ের উপস্থিত কর্মীরা। পুরনো বাড়ি থেকে দামি রুপোর কয়েন উদ্ধারের ঘটনা প্রচার হয়ে যায় পুরো এলাকায়। ওই বাড়িটিকে কেন্দ্র করে ভিড়ও বাড়তে থাকে। শুরু হয়ে যায় লুটপাট।
এই সব ঘটনার মধ্যেই খবর পায় পুরসভা। প্রশাসনের আধিকারিকরা দ্রুত পৌঁছান ঘটনাস্থলে। বাড়ি ভাঙার কাজে নিযুক্ত কর্মী এবং স্থানীয়দের থেকে তারা রুপোর কয়েকগুলো উদ্ধার করেন। জানা যায়, মোট ১৬০টি কয়েন উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি কয়েনের ওজন ১০ গ্রাম। যার এক একটির বাজারমূল্য হলো এক হাজার টাকা বলে অনুমান করা হচ্ছে। পুরসভার ধারণা, বিপজ্জনক বাড়িটি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হলে আরও অনেক কয়েন উদ্ধার হতে পারে।
ওই রুপোর কয়েনগুলো তাহলে কোন আমলের? এই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। কয়েনগুলো সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য খুব শীঘ্রই বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে বলে জানা যায়। তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।