দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ ৩ বছর অপেক্ষার পর বাংলা একাডেমির ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ঢাকা লিট ফেস্ট। ৫ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে এটি।
এই আয়োজন বাংলাদেশের সাহিত্য চর্চার স্বাক্ষর বহন করে, যেখানে নিজেদের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের অন্যান্য সংস্কৃতি এবং শিল্প সমজদারদের সরব উপস্থিতি নজর কাড়বে। আগামী ৫-৮ জানুয়ারী বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা লিট ফেস্টের ১০ম আসর। এই আয়োজনের গর্বিত পার্টনার (অংশীদার) ব্রিটিশ কাউন্সিল।
ব্রিটিশ কাউন্সিল শুরু হতেই ঢাকা লিট ফেস্ট আয়োজনে সহযোগিতা করে আসছে ও এই বছর ব্রিটিশ কাউন্সিল যুক্তরাজ্যের ৩ জন বক্তা এবং লেখককে এই আসরের অংশ হতে সহায়তা করছে। তারা হলেন- আলেকজান্দ্রা প্রিঙ্গেল, ওয়েন শিয়ার্স এবং সারভাত হাসিন। বিখ্যাত আর্ট ম্যাগাজিন আর্ট মান্থলিতে সম্পাদকীয় সহকারী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি আলেকজান্দ্রা প্রিঙ্গেল ব্লুমসবারি পাবলিকেশন্সের ব্রিটিশ গ্রুপ এডিটর-ইন চীফ ছিলেন এবং তিনি ইনডেক্স অন সেন্সরশিপের একজন পৃষ্ঠপোষক। ওয়েন শিয়ার্স একজন ওয়েলশ-ভিত্তিক কবি, লেখক, নাট্যকার এবং টেলিভিশন উপস্থাপক। তিনি এরিক গ্রেগরি অ্যাওয়ার্ড ও ১৯৯৯ সালে ভোগ ট্যালেন্ট কনটেস্ট ফর ইয়াং রাইটার্স পুরস্কার অর্জন করেন। সারভাত হাসিন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা একজন লেখক, যিনি ‘দিস ওয়াইড নাইট’ বইয়ের জন্য সাউথ এশিয়ান লিটারেচার ক্যাটাগরিতে ডিএসসি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
ব্রিটিশ কাউন্সিল ঢাকা ও চট্টগ্রামে আলোচনা এবং কর্মশালার মতো বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ৩ জন লেখকের সঙ্গে এই দেশের তরুণদের কথোপকথনের সুযোগ তৈরি করবে। এই আয়োজনের লক্ষ্য বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মকে আলোকিত করা ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে তাদের যোগসূত্র জোরদার করা। তাছাড়া, ভিনদেশি লেখকদের সঙ্গে এই দেশের সাহিত্য ও শিল্পকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াও এই উদ্যোগের অন্যতম একটি লক্ষ্য।
আগামী ৯ জানুয়ারী ব্রিটিশ কাউন্সিলের ফুলার রোড প্রাঙ্গণে সারভাত হাসিনের উপস্থিতিতে শিক্ষকদের নিয়ে একটি সৃজনশীল লেখার কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে আলেকজান্দ্রা প্রিঙ্গেলের সঙ্গে লেখা এবং প্রকাশনা নিয়ে আলাপচারিতার সুযোগ থাকবে। ব্রিটিশ কাউন্সিল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য চট্টগ্রামের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মশালা আয়োজনে সহায়তা করবে যেখানে কবিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের উপর দৃষ্টিপাত করে ওয়েন শিয়ার্স বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করবেন।
এই বছর ব্রিটিশ কাউন্সিল এর স্টলে আগত দর্শনার্থীদের আইইএলটিএস সংক্রান্ত বিভিন্ন টিপস এবং ট্রিকস, লাইভ ক্যারিকেচার অ্যাক্টিভিটি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের টিচিং সেন্টারের বিভিন্ন অফার সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে এবং একটি ইন্টারেক্টিভ হেরিটেজ এক্সিবিটের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম, নারী এবং ঐতিহ্যের মধ্যে সংযোগ সবার সামনে তুলে ধরবে। এছাড়াও, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় যাত্রিক প্রোডাকশনস উৎসব চলাকালীন ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে ‘কঙ্ক ও লীলা’ (মৈমনসিংহ গীতিকা) পরিবেশন করবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে হে ফেস্টিভাল ইন্টারন্যাশনালের অংশ হিসেবে আয়োজিত ঢাকা লিট ফেস্ট আয়োজনে শুরু হতেই সহযোগিতা করে আসছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। বিগত কয়েক বছরে ঢাকা লিট ফেস্ট বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে আয়োজিত একটি স্বাধীন এবং জনপ্রিয় আসরে পরিণত হয়েছে, যা বাংলাদেশী ও আন্তর্জাতিক সাহিত্যিকদের একত্রিত করে আসছে। আগ্রহীরা অনলাইন ( https://www.dhakalitfest.com/register ) এবং অফলাইনে কিছু নির্দিষ্ট স্থান হতে ঢাকা লিট ফেস্টের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।