দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ধূসর মরুর দেশ সৌদি আরবে একের পর এক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে চলেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টিপাতে প্লাবনের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই অবিশ্রান্ত বারিপাতে সবুজ ঘাসে ভরে উঠেছে পবিত্র মক্কা-মদিনার পাহাড়-পর্বতমালা!
যে দিকে চোখ যাচ্ছে কেবল সবুজের সমারোহ। প্রকৃতি যেনো ভরে গেছে গাছ, লতা-পাতায়। সে এক অন্য রকম দৃশ্য।
পশ্চিম সৌদি আরব অর্থাৎ মক্কা-মদিনার পাহাড়-পর্বতের অবিশ্বাস্য-নজিরবিহীন এইসব ছবি ধরা পড়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার স্যাটেলাইট ক্যামেরাতে। খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো কোনো এলাকায় শিলাবৃষ্টি এবং তুষারপাতের আশঙ্কাও রয়েছে। সে কারণে স্কুলের সব ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। স্কুলের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হবে ‘মাদ্রাসাটি প্ল্যাটফরমে’।
সৌদি আরবের ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজি (এনসিএম) জানিয়েছে যে, দেশটির বেশির ভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি এবং বজ্রপাত হবে। আজ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত এমন অবস্থা চলতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অপর একটি প্রতিবেদনে জেদ্দা কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকার বিষয়ে কর্মকর্তাদের দেওয়া নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়। যা আগে কখনও কল্পনা করা যায়নি, ঠিক তাই ঘটছে এবার সৌদি আরবে।
এইসব এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে গাছপালা বাড়তে শুরু করলেও মরুময় দেশটিকে সবুজে ভরিয়ে তোলার উদ্যোগ আরও আগে থেকেই নিয়েছিল সৌদি সরকার। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প শুরু করেছে তারা। যার একটি হলো গ্রিন রিয়াদ প্রকল্প। সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের খবর অনুসারে জানা যায়, ২০২২ সালের শেষের দিকে উদ্বোধন হয় এই প্রকল্পটি। বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে এবং স্থানীয় পরিবেশ বিবেচনায় এই প্রকল্পের নকশা করা হয়। এর আওতায় সৌদির রাজধানীতে ১২০টির বেশি আবাসিক এলাকায় বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজায়ন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
সৌদি আরবে সবুজায়নের সবচেয়ে বড় প্রকল্পটিই হলো সৌদি গ্রিন ইনিশিয়েটিভ (এসজিআই)। এর আওতায় দেশব্যাপী এক হাজার কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২১ সালে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই প্রকল্পের সূচনা করেন। সেই থেকে প্রকল্পটির আওতায় সৌদি আরব জুড়ে এক কোটি ৮০ লাখের বেশি গাছ লাগানো হয়। যার মধ্যে এক কোটি ৩০ লাখ গাছই লাগানো হয়েছে ম্যানগ্রোভ অঞ্চলগুলোয়। এছাড়াও এক বছরে পুনরুদ্ধার করা হয় ৬০ হাজার হেক্টর বনাঞ্চল।
এসজিআইর পরিকল্পনা অনুসারে জানা যায়, সৌদি আরবে ২০৩০ সালের মধ্যে অন্ততপক্ষে ৬৫ কোটি গাছ লাগানো হবে। এই সময় উদ্ধার করা হবে অন্তত ৮০ লাখ হেক্টর বনাঞ্চল। যে কারণে প্রতিবছর ২০ কোটি টন কার্বন নিঃসারণ কমানো সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।