দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে পেটের মেদ বড় একটি সমস্যা। এই মেদ ঝরাতে অনেকেই কম পরিশ্রম করেন না। তবে সঠিক উপায়ে পানি খেলে ভুঁড়ি কমবে দ্রুত সময়ের মধ্যে। কী নিয়মে?
স্বাস্থ্যকর খাবার, সময়ের খাওয়া সময়ে, শরীরচর্চা- এগুলোই শরীরের যত্ন নেওয়ার শেষ কথা নয়। শরীর সুস্থ রাখতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদ, সকলেই এক বাক্যে এমন পরামর্শ দেন। চুল থেকে ত্বক, শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে পানি খাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায়ও নেই।
শরীরে পানির পরিমাণ ৬০ শতাংশ। তবে শরীর সুস্থ রাখতে হলে পানির জোগান বজায় রাখতে হবে। শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হওয়া মানেই হলো নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে থাকে। ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে শরীর। পানি খাওয়ার কারণে শুধু তেষ্টাই মেটে না, সেইসঙ্গে শরীরে পানির মাত্রা এবং ভারসাম্যও বজায় থাকে। তবে শুধু পানি খেলেই হবে না, পানি খাওয়ার নিয়মও আপনাকে জানতে হবে। আয়ুর্বেদশাস্ত্র অনুযায়ী বলা হয়েছে, সঠিক পদ্ধতিতে পানি না খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতিও হতে পারে।
# তবে ঢক ঢক করে পানি খাওয়ার অভ্যাস ভাল নয়। অথচ অনেকেই তেষ্টা পেলেই ঢক ঢক করে পানি খেয়ে ফেলেন। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, এতে শরীরের রক্তচাপও বেড়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে স্নায়ু উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এতেই বেড়ে যায় রক্তচাপ। এভাবে পানি খেলে উদ্বেগ আরও বাড়তে থাকে। কিডনির কর্মক্ষমতাও কমে যায়। কিডনিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। ঢক ঢক করে পানি খেলে বুকের পেশিতেও চাপ পড়তে পারে।
# তাই চুমুক দিয়ে অল্প অল্প করে পানি খাওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। খাওয়ার সময় কে কখন পানি খাবেন, তা ব্যক্তিভেদে বিভিন্ন হয়ে থাকে। অর্থাৎ বিভিন্ন মানুষের পানি খাওয়ার সময় ভিন্ন রকমের। শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী পানি খাওয়ার সময় ঠিক করাটা জরুরি। যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের খেতে খেতে পানি খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। বরং খাওয়ার কিছুক্ষণ পর পানি খেতে পারেন। এতে খাবার আরও ভালোভাবে হজম করতে সাহায্য করবে। অপরদিকে ওজন কমাতে চাইলে খাবার খাওয়ার পূর্বেই পানি খেয়ে নিতে পারেন। এতে বেশি খাবার খেয়ে নেওয়ার আশঙ্কাও তখন থাকবে না। এতে করে কমবে ভুঁড়ি।
# ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি কখনওই খাওয়া কখনও উচিত নয়। ঠাণ্ডা পানি শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত চলাচল করতে বাঁধা সৃষ্টি করে। যে কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ইষদুষ্ণ পানি খাওয়া শরীরের পক্ষে অনেকটা উপকারী। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে, আবার হজমশক্তি বাড়াতে ও ব্যথা দূর করতে গরম পানি ভীষণ কার্যকরী। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।